2025 সালের সেরা ১০টি বাইনারি অপশন, ফরেক্স ও CFD অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম – আর্থিক স্বাধীনতার পথনির্দেশ

আপনি কি কখনো ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে ট্রেডিং করেছেন বা অনলাইনে আয়ের পথ খুঁজেছেন? যদি করে থাকেন, তাহলে বাইনারি অপশন ও ফরেক্স ট্রেডিং-এর নাম শুনে থাকবেন। সাধারণত সরাসরি ট্রেডিংয়ে লাভ করতে হলে মূলধন লাগে। কিন্তু যদি আপনার কাছে ততটা বিনিয়োগ না থাকে, বা নতুন কোনো উপায় খুঁজে থাকেন? ঠিক সেখানেই বিকল্প হিসেবে কাজ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ট্রেডিং দক্ষতা বা নগদ পুঁজি ছাড়াই, স্বনামধন্য কোনো (বা একাধিক) ব্রোকারের সঙ্গে পার্টনার হয়ে আপনি উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারেন। নিচে তালিকাভুক্ত রয়েছে এমন ১০টি সেরা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম যারা বাইনারি অপশন ও ফরেক্স সেবা প্রদান করে এবং নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক বলে পরিচিত। আপনাকে কেবল শর্তাবলী বুঝে নিতে হবে, তাদের সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে হবে, সাইন আপ করতে হবে, এবং বিশ্বজুড়ে পরিচিত ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলো প্রচার করতে হবে—কোনো ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বা বাড়তি খরচ ছাড়াই!

2025 সালে সেরা ১০টি ব্রোকার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম: র‍্যাংকিং

তুলনা করুন মূল টেবিলে ফিরে যান

তুলনামূলক বিশ্লেষণ

বাইনারি অপশন, ফরেক্স, এবং CFD অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম কী?

বাইনারি অপশন, ফরেক্স এবং CFD অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে নির্দিষ্ট ব্রোকারের প্ল্যাটফর্মে নতুন ট্রেডার আনতে দিয়ে আয় করতে সুযোগ করে। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে, আপনি অনলাইনে ব্যানার বা রেফারেল লিংক শেয়ার করবেন। কেউ যদি সেই লিংকে ক্লিক করে ব্রোকারের ওয়েবসাইটে সাইন আপ করে এবং ট্রেডিং শুরু করে, তখন কমিশন কাঠামো অনুযায়ী আপনি কমিশন পাবেন।

আপনি যে প্রোগ্রামটি বেছে নেবেন, সেটি বাইনারি অপশন বা ফরেক্স প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে কাজ করবে (CFD সাধারণত ফরেক্সের মতোই কাজ করে, তবে এখানে মূলত ফরেক্স ও বাইনারি অপশনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে)।

বাইনারি অপশন এবং ফরেক্স কীভাবে কাজ করে?

বাইনারি অপশন, যাকে অনেকে “অল-অর-নাথিং” কন্ট্র্যাক্ট বলে, একটি বেশ সোজাসাপ্টা পদ্ধতি মেনে চলে:

• ব্রোকারের প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেডার একটি অ্যাসেট (যেমন কারেন্সি পেয়ার, স্টক, ক্রিপ্টোকারেন্সি) নির্বাচন করে।
• নির্ধারিত মেয়াদ শেষে দাম কি বর্তমান মূল্যের চেয়ে উপরে থাকবে নাকি নিচে—এই পূর্বাভাস দেয়।
• সে ট্রেডে কত ডলার বিনিয়োগ করবে তা ঠিক করে।
• যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়, সাধারণত বিনিয়োগকৃত অর্থের ৬০–৯৫% পর্যন্ত ফিক্সড লাভ পায়; ভুল হলে পুরো বিনিয়োগ হারায়।

দেখতে সহজ মনে হলেও, প্রকৃতপক্ষে ভালো স্ট্রাটেজি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হওয়া কঠিন। অনেকে প্রস্তুতি ছাড়াই প্রবেশ করে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

ফরেক্স (বা CFD) ট্রেডিং খানিকটা ভিন্ন রকম:

• এখানে ট্রেডার একটি অ্যাসেট নির্বাচন করে এবং কেনা (Buy) বা বিক্রি (Sell) করবেন তা নির্ধারণ করে।
• লাভ নির্ভর করে দাম কতটা দূর পর্যন্ত প্রত্যাশিত দিকে যায়। বাজার আপনার পক্ষে বা বিপক্ষে গেলে আপনি ইচ্ছেমতো পজিশন বন্ধ করতে পারেন।
• যদি ট্রেড বিপরীত দিকে যায়, লোকসান বাড়তে থাকে যতক্ষণ না ট্রেড বন্ধ করা হয় বা অ্যাকাউন্টে ফান্ড শেষ হয়।
• ট্রেডাররা ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের জন্য Take Profit ও Stop Loss ব্যবহার করতে পারে, যাতে নির্দিষ্ট প্রাইস লেভেলে ট্রেড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বাইনারি অপশন সাধারণত নতুনদের জন্য বেশি সরল মনে হয়। ফরেক্স তুলনায় জটিল হলেও দক্ষ ট্রেডারদের জন্য সম্ভাব্য লাভের পরিমাণ অনেক।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী বাইনারি অপশন এবং ফরেক্স

বাইনারি অপশন, ফরেক্স এবং CFD ট্রেডিং অনেক ক্ষেত্রেই সরকারী অনুমোদন সাপেক্ষে চলে, বিশেষ করে যেখানে ট্রেডাররা অবস্থান করে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে বাইনারি অপশন নিয়ন্ত্রণে SEC (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) এবং CFTC (কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন) খুব কঠোর ভূমিকা পালন করে।

অনেক ব্রোকারই যুক্তরাষ্ট্র অথবা কিছু ইউরোপীয় দেশের উচ্চ নিয়ম-কানুন পূরণ করতে পারে না। তাই ঐসব অঞ্চলে বসবাসকারী ট্রেডারদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা সীমিত বা নিষিদ্ধ থাকতে পারে। তবে অনেক সময় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা বৈধ থাকে, যদিও সরাসরি ট্রেডিং সেবা পাওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে।

বাইনারি অপশনের ধরন

বাইনারি অপশনের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, কিন্তু সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত হলো “High/Low” বা “Up/Down” অপশন। এটি সহজে বোঝা যায়, নতুন ও অভিজ্ঞ ট্রেডার উভয়ের মধ্যেই জনপ্রিয়।

আরও কিছু ধরন যেমন “One Touch/No Touch,” “Boundary/In-Range,” কিংবা “Turbo/Blitz” (অতি স্বল্প মেয়াদী, কয়েক সেকেন্ডমাত্র)—এসবের মাধ্যমে সম্ভাব্য লাভ বেড়ে যায়, তবে ঝুঁকিও সমানতালে বাড়ে।

বাইনারি অপশন বনাম ফরেক্সের উদাহরণ

ধরুন বাইনারি অপশনে একটি উদাহরণ:

• একজন ট্রেডার EUR/USD তে “Up” অপশন নিল ২ মিনিট মেয়াদে, ১০০ ডলার বিনিয়োগ করে।
• ট্রেড শুরু করার সময় দাম ছিল 1.04462।
• ২ মিনিট পর দাম বেড়ে দাঁড়াল 1.04521, যা আগের চেয়ে বেশি। ট্রেডার ৮০% বা ১৮০ ডলার পেয়ে যায় (১০০ ডলার মূল টাকা + ৮০ ডলার লাভ)।

দাম সামান্য বেড়ে 1.04463 হলেও ট্রেড সফল হতো।

ফরেক্স বা CFD-এর ক্ষেত্রে উদাহরণ:

• GBP/AUD কারেন্সি পেয়ারের জন্য, এক লটে 1.9884 দরে ‘Sell’ অর্ডার ওপেন করা হলো, যেখানে প্রতিটি পিপ মুভমেন্টে প্রায় ১ ডলার ঝুঁকি (যেমন কারেন্সি ভেদে পিপ ভ্যালু ভিন্ন হয়)।
• স্টপ লস সেট করলেন 1.9970-এ, আর টেক প্রফিট 1.9624-এ, যেখানে প্রায় ৫৩৯ ডলার ঝুঁকি নিয়ে ১,৬২৯ ডলার লাভের সম্ভাবনা; রিস্ক-রিওয়ার্ড 1:3।
• এই ট্রেড কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। 1.9624 দাম স্পর্শ করলে অটো ক্লোজ হয়ে ১,৬২৯ ডলার লাভ হয়।

ফরেক্সে লাভের পরিমাণ মূলত দাম কতদূর যায় তার ওপর নির্ভর করে, তাই এটি বেশি লাভজনক হতে পারে কিন্তু ঝুঁকিও বেশি।

বাইনারি অপশন বনাম ফরেক্সের সুবিধা ও অসুবিধা

বাইনারি অপশনের সুবিধা:

• সহজ ট্রেডিং কনসেপ্ট, নতুনদের বুঝতে সুবিধা হয়।
• ঝুঁকি সীমিত—প্রাথমিক বিনিয়োগের বাইরে আর্থিক ক্ষতির সুযোগ থাকে না, লাভের পরিমাণ আগেই জানা যায়।

ফরেক্সের সুবিধা:

• লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি, কারণ লাভ নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমে আটকে থাকে না।

উভয়ের ক্ষেত্রে অসুবিধা:

• বাজার বিপরীতে গেলে বিনিয়োগ হারানোর ঝুঁকি সবসময় থাকে।
• বাজার সম্পর্কে জ্ঞান ও ডিসিপ্লিন প্রয়োজন।

ফরেক্সের অতিরিক্ত অসুবিধা:

• নতুনদের জন্য জটিল, সঠিকভাবে রিস্ক এবং রিওয়ার্ড হিসাব করা কষ্টসাধ্য, লেনদেনে অতিরিক্ত ফি থাকতে পারে।

বাইনারি অপশন ও ফরেক্স অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে কাজ করার সুবিধা

কোনো বাইনারি অপশন বা ফরেক্স ব্রোকারের অ্যাফিলিয়েট হয়ে আপনি আর্থিক ঝুঁকি ছাড়াই আয় করতে পারবেন। ট্রেডারদের কার্যক্রম থেকে যে কমিশন তৈরি হয়, সেটিই আপনার উপার্জন হবে। টাকা লেনদেন, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা—সব ব্রোকারের দায়িত্ব। আপনার কাজ মূলত রেফারেল লিংক বা ব্যানার প্রচার করা।

প্রমোট করা সহজ, আকর্ষণীয় ট্রেডিং মডেল

অনেকেই মনে করেন বাইনারি অপশন মূলধারার ট্রেডিংয়ের চেয়ে তুলনামূলক সহজ। সরল ‘Up/Down’ সিদ্ধান্ত এবং অনেক প্ল্যাটফর্মে উচ্চ রিটার্ন—অনেকের কাছে আকর্ষণীয়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে ইনকামের সহজ উপায় খোঁজেন, তাদের কাছে বিষয়টা পরিচিত।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট বেসও বাড়ে। বাইনারি ট্রেডিং অনেকের কাছে স্পোর্টস বেটিংয়ের মতো, তবে কিছুটা বেশি নিয়মতান্ত্রিক। তবু ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ।

বর্ধিত আয় সম্ভাবনা

এই সেক্টরে অ্যাফিলিয়েটদের আয় অনেক বড় পরিমাণে হতে পারে। ব্রোকাররা সাধারণত বৃহৎ ভলিউমের লেনদেন পরিচালনা করে, তাই আপনার কমিশনও দ্রুত বাড়তে পারে। কেউ কেউ দাবি করেন যে তারা মাসিক ৫,০০০ ডলারের বেশি আয় করেন; অনেক অ্যাফিলিয়েট এমনকি প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার ডলার আয় করার কথা শেয়ার করে থাকেন।

উদাহরণস্বরূপ, CPA মডেলে প্রথম ডিপোজিটের (FTD) ওপর ভিত্তি করে আপনি ৭০–১০০% পর্যন্ত পেমেন্ট পেতে পারেন। আপনার কোনো রেফারেল যদি ১০,০০০ ডলার ডিপোজিট করে, তাহলে আপনি ৭,০০০–১০,০০০ ডলার পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারেন। এমন কয়েকজন রেফারেল হলে মাসিক বা সাপ্তাহিক আয়ের চিত্র কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

অন্যদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথ দেখানো

বর্তমান সময়ে আর্থিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে ডেমো ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করতে চায়, তাহলে সেই সুযোগকে সামনে নিয়ে আসার মাধ্যমে আপনি মানুষকে একটি সম্ভাব্য আয়ের দিক দেখাতে পারেন।

অবশ্যই সবাই সফল হবে না, এবং ঝুঁকি সবসময় থাকে। তবে আপনি অন্তত তাদের কাছে একটি বিকল্প পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রায় সব ব্রোকারই প্রশিক্ষণ সামগ্রী ও ডেমো অ্যাকাউন্ট অফার করে, যাতে আগ্রহীরা বিনিয়োগের আগে কিছুটা অনুশীলন করতে পারে।

বাইনারি অপশন ও ফরেক্স ব্রোকারের অ্যাফিলিয়েটরা কীভাবে আয় করে

অ্যাফিলিয়েটরা সাধারণত কয়েকটি কমিশন মডেলের এক বা একাধিক বেছে নেয়:

• Revenue Share – আপনার রেফার করা ট্রেডারদের লোকসানের ওপর ভিত্তি করে (সাধারণত ৩০–৮০%) আপনি কমিশন পান।
• Turnover Share – ট্রেডার লেনদেন করলেই নির্দিষ্ট শতাংশ (১–৭%) কমিশন, ট্রেড লাভ বা লোকসান যাই হোক না কেন।
• CPA (Cost Per Action) – কোনো নির্দিষ্ট অ্যাকশনের (যেমন প্রথম ডিপোজিট) জন্য এককালীন নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন।
• Sub-Affiliate – আপনি যে অ্যাফিলিয়েটদের আমন্ত্রণ জানান, তাদের আয়ের একটি অংশ (সাধারণত প্রায় ১০%)।

ব্রোকার এবং অ্যাফিলিয়েটের মধ্যে রাজস্ব ভাগাভাগি

Revenue Share ব্যবস্থায়, আপনার রেফার করা কোনো ট্রেডার যদি ১,০০০ ডলার লোকসান করে আর আপনার শেয়ার ৫০% হয়, তাহলে আপনি ৫০০ ডলার পাবেন। আবার ট্রেডার ৫০০ ডলার মুনাফা করলে, আপনাকে ৫০% হারে কিছুটা “নেতিবাচক” ব্যালান্সে দেখালেও বাস্তবে আপনার পকেট থেকে টাকা কাটা হয় না; সামগ্রিকভাবে অন্য ট্রেডারদের লোকসান থেকে তা পুষিয়ে যায়।

Turnover Share মডেলে, ট্রেডার ট্রেড করলেই আপনি একটা ছোট শতাংশ কমিশন পাবেন, লাভ-লোকসান নির্বিশেষে। এটি অধিক ধারাবাহিক হতে পারে, যদিও প্রতি ট্রেডে কমিশনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।

CPA মডেলে আপনি প্রথম ডিপোজিট বা অন্য নির্দিষ্ট অ্যাকশনের জন্য একবারই কমিশন পান। যদি আপনি দ্রুত বড় অঙ্কের আয় পেতে চান, এটি বেশ আকর্ষণীয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এখানে পুনরাবৃত্ত কমিশন নেই।

Sub-Affiliate মডেল দীর্ঘমেয়াদে অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে, যদি আপনি দক্ষ অ্যাফিলিয়েটদের নিজের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে পারেন। তখন তাদের আয়ের একটি অংশ নিয়মিতভাবে আপনার হয়ে আসবে।

Hold হলো সাময়িকভাবে কমিশন আটকে রাখার পদ্ধতি, উদাহরণস্বরূপ প্রতি সপ্তাহে পেমেন্ট হলে সেই সপ্তাহের কমিশন “হোল্ড”-এ জমা থাকে। সময়সীমা শেষ হলে সেটি আপনার মূল ব্যালান্সে স্থানান্তরিত হয়।

কোন কমিশন মডেল সবচেয়ে ভালো?

প্রতিটি মডেলই লাভজনক হতে পারে, কিন্তু সুবিধা-অসুবিধা ভিন্ন:

• Revenue Share – ধীরগতিতে শুরু হলেও দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত আয় দিতে পারে।
• Turnover Share – লাভ বা লোকসান নির্বিশেষে ট্রেড ভলিউমের ওপর ভিত্তি করে আয়, যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।
• CPA – দ্রুত অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ, তবে একবার মাত্র দেওয়া হয়।
• Sub-Affiliate – যদি ভালো অ্যাফিলিয়েটদের রেফার করতে পারেন, দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবশালী আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক (সাব-অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক)

কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে একাধিক স্তরের সাব-অ্যাফিলিয়েটের সুযোগ থাকে। যেমন, তিন-স্তরের কাঠামোয় আপনি অন্যকে অ্যাফিলিয়েট বানিয়ে আনেন, তারা আরও অ্যাফিলিয়েট নিয়ে আসে, এইভাবে একটি শৃঙ্খল তৈরী হয়; প্রত্যেক স্তরের একটা অংশ আপনার হিসাবে আসে।

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে কীভাবে পেমেন্ট পাবেন

প্রত্যেক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের আলাদা পেমেন্ট শর্ত থাকে। সাধারণত, Hold ব্যালান্স থেকে নির্দিষ্ট সময় পর কমিশন আপনার মূল ব্যালান্সে ছেড়ে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, মাসে দু’বার পেমেন্ট হলে, ঐ দুই সপ্তাহের উপার্জন হোল্ডে জমা থাকে। বিলিং সাইকেল শেষ হলে তা আপনার মূল অ্যাকাউন্টে চলে আসে।

উদাহরণ হিসেবে, এক সপ্তাহে আপনার রেভিনিউ শেয়ার থেকে ১,২০০ ডলার, টার্নওভার শেয়ার থেকে ২৪৪ ডলার এবং CPA থেকে ৬০০ ডলার আসতে পারে—মোট ২,০৪৪ ডলার হোল্ডে জমা থাকবে। পেমেন্টের সময় হলে, হোল্ডের ২,০৪৪ ডলার মূল অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। তারপর সেটি আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, ই-ওয়ালেট বা ক্রিপ্টোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন, প্ল্যাটফর্ম যেসব পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে।

কোনো কোনো প্ল্যাটফর্মে আপনি মিনিমাম উইথড্রয়াল অ্যামাউন্ট অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট প্রসেস হয়ে যায়, যা অ্যাফিলিয়েটদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।

রেটিং পদ্ধতি: সেরা বাইনারি অপশন, ফরেক্স ও সিএফডি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নির্বাচনে মূল বিবেচ্য বিষয়

সঠিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম খুঁজে নেওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অনেকে একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রামে সাইন আপ করেন, কিন্তু এতে হতাশার ঝুঁকি থাকে—কিছু কোম্পানি হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায়, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে আয় আটকে রাখা হয়, ফলে আপনার শ্রম ও সময় অপচয় হয়। এসব ঝামেলা এড়াতে, আমি এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক শেয়ার করতে চাই যা একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট পার্টনার বেছে নেওয়ার সময় আপনার মাথায় রাখা উচিত। সেইসঙ্গে, আমি আপনাদের জন্য কিছু নির্ভরযোগ্য বাইনারি অপশন ও ফরেক্স অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের তৈরি করা একটি তালিকা উপস্থাপন করছি।

মূলত, আমি ইতোমধ্যেই অনেক অনির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক বাদ দিয়েছি; এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আপনার। আপনি চাইলে শুধু একটি বা সবকটিতেই সাইন আপ করতে পারেন। এদের প্রতিটিই নিরবচ্ছিন্ন কমিশন পরিশোধ করে এবং অ্যাফিলিয়েটদের কাছ থেকে ভালো মানের রেটিং পেয়েছে। আমি নিজস্ব কিছু মাপকাঠির ভিত্তিতে এই র‍্যাংকিং সাজিয়েছি, তবে আপনার ইচ্ছা হলে আপনার নিজস্ব মানদণ্ড অনুযায়ীও এদের মূল্যায়ন করতে পারেন।

বাইনারি অপশন ও ফরেক্স অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম মূল্যায়ন করার উপায়

কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো আপনার সময় ও শ্রমের উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করতে আমি কয়েকটি মৌলিক দিককে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি:

• অপারেশনাল শর্ত (কমিশন মডেল ও পেআউট সংক্রান্ত তথ্য):
  • রেভেনিউ শেয়ার (Revenue Share), টার্নওভার শেয়ার (Turnover Share), CPA (Cost Per Action) এবং সাব-অ্যাফিলিয়েট মডেল (যেখানে আপনি নিজে যাদের সংযুক্ত করেন তাদের আয়ের একটি অংশ পান) বিশদভাবে বিশ্লেষণ করেছি।
  • সর্বোচ্চ শতাংশ রেট, নির্দিষ্ট CPA এমাউন্ট, একাধিক মডেল একসঙ্গে ব্যবহার করা যায় কি না, এবং বিশেষ কোনো অফার রয়েছে কিনা—এসবই খতিয়ে দেখেছি।
• অ্যাফিলিয়েটদের প্রতিক্রিয়া ও সুনাম:
  • তালিকাভুক্ত ১০টি প্রোগ্রামের ওপর সর্বমোট ২,২৪০টি পর্যালোচনা (ইতিবাচক ও খুবই নেতিবাচক উভয়ই) পর্যালোচনা করেছি।
  • পেমেন্ট বিলম্ব, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন, সাপোর্ট টিমের জবাবদিহিতা এবং অ্যাফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে কিনা দেখেছি।
• পরিশোধের নিয়মিততা ও নির্ভরযোগ্যতা:
  • কত ঘন ঘন পেমেন্ট দেয় (সাপ্তাহিক, মাসিক ইত্যাদি) এবং অ্যাফিলিয়েটদের বিলম্বজনিত কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেছি।
  • কোম্পানিগুলো কেমনভাবে নির্ধারিত সময়ের আগে পেমেন্টের অনুরোধ গ্রহণ করে—কিছু নেটওয়ার্ক বেশ উদার, আবার কিছু বড়সড় ট্রাফিক না পেলে বিশেষ শর্ত দিতে চায় না।
• ব্র্যান্ড প্রতিযোগিতা:
  • মার্কেটে ব্রোকার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি কেমন—যে ব্র্যান্ড প্রচুরভাবে প্রচারিত, সেগুলো সাধারণত অনেক ট্রাফিক পায়; তবে সেখানকার অ্যাফিলিয়েটদের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়।
  • একটি “ব্র্যান্ড কম্পিটিশন ইনডেক্স” তৈরি করেছি, যা ব্রোকারের জনপ্রিয়তা এবং সম্ভাব্য ট্রেডারদের আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে।
• প্রচার সামগ্রীর প্রাপ্যতা ও গুণগত মান:
  • ল্যান্ডিং পেজ, ব্যানার, মার্কেটিং ক্রিয়েটিভ, ভাষাগত সাপোর্ট এবং অ্যানালিটিক্যাল টুল—এসবই কেমন সুবিধা দেয়, তা পর্যবেক্ষণ করেছি।

অ্যাফিলিয়েট কমিশন মডেলের বিশ্লেষণ

বাইনারি অপশন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি দেখা যায়:

• Revenue Share — ব্রোকারের নিট মুনাফার ওপর ভিত্তি করে কমিশন।
• Turnover Share — মোট ট্রেডিং ভলিউমের একটি শতাংশ (সম্ভাব্য ভালো আয়, তবে ইউজার অ্যাক্টিভিটির ওপর নির্ভরশীল)।
• CPA (Cost Per Action) — নির্দিষ্ট অ্যাকশন (যেমন রেজিস্ট্রেশন বা ডিপোজিট) সম্পন্ন হলেই একটি স্থির অর্থপ্রাপ্তি।
• Sub-Affiliate — নিজের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া অন্য অ্যাফিলিয়েটদের আয়ের একটি অংশ পাওয়া যায়।

অধিকাংশ অ্যাফিলিয়েট Revenue Share এবং CPA মডেলের দিকে বেশি ঝোঁকেন, কারণ এগুলো তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছ এবং সম্ভাব্য আয় গণনা করা সহজ। Turnover Share সাধারণত বড়সড় ওয়েবমাস্টারদের জন্য কাজে লাগে, যাদের কাছে বৃহৎ পরিমাণের ট্রাফিক আছে। অন্যদিকে, Sub-Affiliate সেসব ব্যক্তির জন্য ভালো, যারা নিজেদের মতো একটা অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চান—রেফার করা অ্যাফিলিয়েটদের আয়ের একটি অংশ পেতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট কমিশন তুলনা (রেভেনিউ শেয়ার / টার্নওভার / CPA / সাব-অ্যাফিলিয়েট)

সবুজ রঙ রেভেনিউ শেয়ার নির্দেশ করে, কমলা রঙ টার্নওভার শেয়ার, আর নীল রঙ সাব-অ্যাফিলিয়েট বোঝায়। সর্বোচ্চ শতাংশ রেট জানতে চার্টে হোভার করে দেখুন।

কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে CPA-ও প্রযোজ্য, যেমন:

• FinMinistry: সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার পর্যন্ত
• AffStore: সর্বোচ্চ ২০০ ডলার পর্যন্ত
• KingFin: সর্বোচ্চ ১৫০ ডলার পর্যন্ত
• AMarkets Affiliate: সর্বোচ্চ ২০০ ডলার পর্যন্ত

রিভিউ তুলনা: মোট রিভিউ সংখ্যা & ইতিবাচক/নেতিবাচক অনুপাত

আমি প্রায় ২,২৪০টি রিভিউ পর্যালোচনা করেছি, যা বিভিন্ন ফোরাম ও স্পেশালাইজড প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও কিছু রিভিউ স্পষ্টতই “প্রচারমূলক” ধরনের, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া—বিশেষ করে যখন পেমেন্ট পেতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ লাগছে কিন্তু কোনো দায় স্বীকার করা হচ্ছে না, হঠাৎ করে রি-ভেরিফিকেশন চাওয়া হচ্ছে, বা কোনো কারণে অ্যাফিলিয়েট ম্যানেজার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন।

পেআউট ফ্রিকোয়েন্সি ও অ্যাফিলিয়েটদের জন্য নমনীয়তা

যে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম যত ঘন ঘন পেমেন্ট দেয়, আপনার ক্যাশফ্লোও তত নিয়মিত হয়। দুঃখজনকভাবে, সব কোম্পানি তাদের ঘোষিত সময়সূচি বরাবর মেনে চলে না:

• Quotex Partner: দাবিকৃত সাপ্তাহিক পেমেন্ট (বৃহস্পতিবার), যদিও বছরে একবার হয়তো ১–২ দিনের ছোটখাটো বিলম্ব হতে পারে।
• AffStore: মাসে দুবার পেমেন্ট। যদি আপনি মাসে ২০০০ ডলারের বেশি আয় করেন, তাহলে বিশেষ পেমেন্টের অনুরোধ করতে পারেন। বড়সড় বিলম্বের ঘটনা খুব কম।
• Binolla Affiliate: অন-ডিমান্ড পেমেন্ট দেয়, তবে রিভিউ প্রক্রিয়ায় তিন কর্মদিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। মাঝে মধ্যে কিছু ইউজার ট্রাফিকের স্ক্রিনশট দাবি করার ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন (আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি)।
• Affiliate Top: মাসে দুবার পেমেন্ট দেয়। এখন পর্যন্ত বড় কোনো বিলম্বের খবর শোনা যায়নি, আর অ্যাকাউন্ট ম্যানেজাররাও বেশ সহায়ক—তবে আপনাকে প্রচারের কন্টেন্ট নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে, তা না হলে পেমেন্ট আটকে দিতে পারে।
• KingFin: প্রতি দুই সপ্তাহে পেমেন্ট করে, আর যদি আপনার বড়সড় ট্রাফিক থাকে তবে তাড়াতাড়ি পেমেন্ট পাওয়া সম্ভব।
• FinMinistry: রিকোয়েস্ট-বেইসড পেমেন্ট সিস্টেম। এক ইউজারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, পাঁচ দিনের বিলম্ব হলেও সাপোর্ট শুধু “অপেক্ষা করুন” বলে কোনো কারণ জানাননি।
• AMarkets Affiliate: এটাও রিকোয়েস্ট-বেইসড। বড় অঙ্কের পেমেন্ট তুলতে চাইলে অতিরিক্ত ভেরিফিকেশন লাগতে পারে, যা সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।
• Pocket Option Affiliate: প্রতি সোমবার পেমেন্ট করে, যদি ঐ মাসে কয়েকটি FTD (First Time Deposit) এনে থাকেন। বেশিরভাগ অ্যাফিলিয়েটই সন্তুষ্ট, তবে এটা মাথায় রাখা দরকার যে তারা প্রায়ই পার্টনার এগ্রিমেন্ট আপডেট করে (বছরে ২–৩ বার)।
• Clever Aff: মাসে দুইবার স্ট্যান্ডার্ড পেমেন্ট, যা সরাসরি আপনার নির্দিষ্ট পেমেন্ট পদ্ধতিতে চলে যায় (পার্টনার অ্যাকাউন্টে জমে থাকে না)। বড় কোনো অভিযোগ নেই, মাঝে মধ্যে ১–২ দিনের বিলম্ব ঘটতে পারে।
• Intrade Bar: যদি মিনিমাম ব্যালান্স পূরণ হয়, তাহলে প্রতিদিন পেমেন্টের সুযোগ। বেশিরভাগ অ্যাফিলিয়েট ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা বলেন; হাতে গোনা কিছু অভিযোগ সাধারণত ছুটির দিনে বিলম্ব বা পেমেন্ট প্রোভাইডারের সাময়িক সমস্যার কারণে।

ব্র্যান্ড প্রতিযোগিতা (ব্র্যান্ড কম্পিটিশন ইনডেক্স) বাইনারি অপশন ও ফরেক্স অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম

এ ক্ষেত্রে, আমি ব্রোকারের অনলাইন-অফলাইন স্বীকৃতি, সম্ভাব্য গ্রাহকদের আগ্রহ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করেছি:

• পরিচিত ব্র্যান্ড গ্রাহকদের কাছে আস্থা বাড়ায়, তবে রিলেভেন্ট কীওয়ার্ডের জন্য অ্যাফিলিয়েটদের বেশ প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়।
• কম পরিচিত ব্রোকাররা অনেক সময় চমৎকার শর্ত অফার করে, যদিও তাদের স্বল্প পরিচিতি ট্রাফিক কনভার্সনে বাধা হতে পারে।

ফলে, আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। যদি আপনার বড়সড় ও সক্রিয় ট্রাফিক থাকে, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড প্রচার করা সহজ হতে পারে। আর যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে নতুন হন, কম-প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রোকার দিয়ে শুরু করলে ভালো ফল পেতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলোর শর্তের চূড়ান্ত তুলনামূলক মূল্যায়ন

সব দিক একত্রে বিবেচনা করে, আমি একটি “কন্ডিশনস র‍্যাংকিং” তৈরি করেছি যেখানে বিবেচনা করেছি:

• কমিশন কাঠামোর নমনীয়তা ও হার (রেভেনিউ শেয়ার, CPA ইত্যাদি)।
• সার্বিক সুনাম এবং ব্যবহারকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
• পেমেন্টের নিয়মিততা ও নির্ভরযোগ্যতা।
• ব্র্যান্ড প্রতিযোগিতা।
• প্রচার সামগ্রীর মান এবং সাপোর্ট টিমের গতিময়তা।

আলাদা বিষয়ের ওজন বা নতুন কোনো ফ্যাক্টর যোগ করলে কিছু সংখ্যাগত পরিবর্তন হতে পারে। তারপরও, আমার র‍্যাংকিংয়ে Quotex Partner, AffStore এবং Binolla সামনের সারিতে আছে—তাদের কমিশন রেট তুলনামূলক ভালো, ব্রোকারের পরিচিতি ভালো, আর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার হার তুলনামূলকভাবে কম। তবে তালিকায় থাকা অন্য প্রোগ্রামগুলোও খারাপ নয়—বিশেষ করে যদি আপনি একাধিক ব্রোকার নিয়ে কাজ করতে চান।

সার্বিকভাবে, বড় বড় প্রতিশ্রুতির পেছনে না ছুটে বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বেছে নেওয়া ভালো। অনেকে নেতিবাচক রিভিউ এড়িয়ে যান, কিন্তু সেখান থেকেই বোঝা যায় কোম্পানি সমস্যার সময় কীভাবে সাড়া দেয়। শুধু মার্কেটিং ডাটা দেখে সিদ্ধান্ত নিলে শেষমেশ হতাশ ও সময় ক্ষতির শিকার হতে পারেন—বিশ্বাস করুন, আমি নিজে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলছি।

কোন বাইনারি অপশন ও ফরেক্স ব্রোকার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলোর সঙ্গে কাজ করা উপযুক্ত?

আপনার অনুসন্ধানকে সহজ করতে, এখানে এমন কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের তালিকা দিয়েছি যা বিভিন্ন ব্রোকার প্রমোশন করার জন্য যথেষ্ট ভালো। আমি নিজে এদের সঙ্গে কাজ করি, তবে আপনাকে সবগুলোতেই যোগ দিতে হবে এমন নয়। আপনার পছন্দ বা নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার ওপর (উদাহরণস্বরূপ, কিছু অঞ্চলে সীমাবদ্ধতা থাকে) ভিত্তি করে এক বা একাধিক ব্রোকার বেছে নিতে পারেন। এগুলো তাদের সুনাম ও নির্ভরযোগ্যতা দ্বারা প্রমাণিত।

Quotex Partner

Partner Quotex অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

Partner Quotex মূলত Quotex ব্রোকারের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। প্রথম দর্শনে কমিশন বাড়ানোর প্রক্রিয়া “গড়পড়তা” মনে হতে পারে, তবে তারা পার্টনারদের জন্য বেশ ভালো সুবিধা অফার করে।

• Revenue Share: ৫০–৮০%
• Turnover Share: ২–৫%
• Sub-affiliate: ৫–৮%

এখানে বিশদ পরিসংখ্যান, প্রচারণার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস এবং বিভিন্ন কনটেস্ট ও প্রাইজপুল রয়েছে। তবে অনেকে উল্লেখ করেন যে কমিশনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো কিছুটা কঠিন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট — https://partner.quotex.com/।

Quotex অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সম্পূর্ণ রিভিউ

---

AffStore

AffStore অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

AffStore আপনাকে একাধিক বাইনারি অপশন, CFD ও ফরেক্স ব্রোকারের (যেমন IQ Option, SabioTrade, QuadCode Markets, Exnova ইত্যাদি) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়, ফলে বিভিন্ন অফার পরীক্ষা করা সহজ। তবে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ তীব্র এবং ট্রাফিক-সংক্রান্ত কড়া নিয়ম রয়েছে।

• বিশ্বব্যাপী নানা ব্রোকার (বাইনারি অপশন, CFD, ফরেক্স) নিয়ে কাজ করে।
• প্রায় সব অঞ্চলের ট্রাফিক গ্রহণযোগ্য।
• একাধিক কমিশন মডেল: রেভেনিউ শেয়ার, টার্নওভার শেয়ার, CPA।
• Sub-affiliate: আপনার রেফার করা অ্যাফিলিয়েটদের আয়ের ৫%।
• ড্যাশবোর্ডে বিস্তারিত ক্লায়েন্ট পরিসংখ্যান।
• মাসে দুবার পেমেন্ট।

ব্যবহারকারীদের মতে, সাপোর্ট সাধারণত দ্রুত সাড়া দেয়, তবে কোনো কোনো জটিল বিষয়ের সমাধানে একটু সময় লাগতে পারে—যা কখনো কখনো হতাশাজনক হয়। ম্যানেজাররা লম্বা ছুটিতে গেলে আপনাকে অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। অফিসিয়াল পেজ — https://affstore.com/।

AffStore অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সম্পূর্ণ রিভিউ

---

Binolla Affiliate

Binolla Affiliate অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

Binolla নিজেকে একধরনের ব্যবহারবান্ধব ডিজিটাল অপশন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উপস্থাপন করে। তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে কমিশন (৮০% পর্যন্ত) বেশ আকর্ষণীয় হতে পারে, যদিও বড় আকারের প্রচারণার সময় পেমেন্ট দেরির কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়। https://partners.binolla.com/

• কমিশন ৮০% পর্যন্ত (ব্রোকারের প্রফিট থেকে)।
• সাপ্তাহিক পেমেন্ট (কিন্তু কখনো কখনো সময়সূচি একটু এদিক-সেদিক হয়)।
• বিশ্বব্যাপী ট্রাফিক গ্রহণ করে, যা অনেক ওয়েবমাস্টারের কাছে আকর্ষণীয়।
• টেলিগ্রাম নোটিফিকেশন, উন্নত অ্যানালিটিক্স এবং পোস্টব্যাক ইন্টিগ্রেশন।
• বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য স্থানীয় ভাষার প্রোমো উপকরণ।

• RevShare: প্ল্যাটফর্মের প্রফিটের সর্বোচ্চ ৮০%।
• Turnover: ট্রেডিং ভলিউমের সর্বোচ্চ ৫%।
• Sub-Affiliates: সাব-অ্যাফিলিয়েটদের আয়ের সর্বোচ্চ ১০%।

Binolla অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রিভিউ

---

Affiliate Top

Affiliate Top অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

Affiliate Top-এর মাধ্যমে Binomo ও Stockity প্রোমোট করা যায়। তাদের কমিশন স্ট্রাকচার, রিপোর্টিং ও সাপোর্ট বেশ ভালো। তবে কিছু পার্টনার কড়া বিজ্ঞাপনী নিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেছেন: সামান্য নিয়মভঙ্গ হলেও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে, তাই নিশ্চিত হয়ে নিন যে সব গাইডলাইন সঠিকভাবে মেনে চলছেন। https://affiliate.top/

• Revenue Share (Binomo): ৫০–৭০%
• Turnover Share (Binomo): সর্বোচ্চ ৬.৫%
• Turnover Share (Stockity): সর্বোচ্চ ৬.৫%
• মাসে দুবার পেমেন্ট।
• Sub-Affiliate: সাব-অ্যাফিলিয়েটদের ৫% আয়।
• প্রয়োজন হলে কাস্টম প্রোমোশনাল ম্যাটেরিয়াল চাইতে পারেন (সব অঞ্চল সমানভাবে সাপোর্ট পায় না)।

Affiliate Top-এর বিস্তারিত ওভারভিউ

---

KingFin

KingFin অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

KingFin হলো OlympTrade এবং ToDo ব্রোকারের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। সাধারণভাবে এটি বেশ নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়, কিন্তু যেকোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে কমিশন কাটতে বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে। তবে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চললে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না। https://kingfin.com/

• Revenue Share: ২০–৬০%
• CPA মডেল পাওয়া যায়
• বিভিন্ন মার্কেটিং টুল রয়েছে, যদিও কিছু টুলের জন্য বাড়তি খরচ আছে
• Sub-Affiliate: ৩–৫%
• প্রতি দুই সপ্তাহে পেমেন্ট (যদি কোনো দ্বন্দ্ব না থাকে)

KingFin-এর পর্যালোচনা ও মন্তব্য

---

FinMinistry

FinMinistry অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

FinMinistry ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে এবং IQ Cent, BINARY CENT, BIN BOT, RACE OPTION, VIDE FOREX, IQ MINING ইত্যাদি প্রমোট করে। এদের অনেক অফার একই বিজ্ঞাপনদাতার মালিকানাধীন, ফলে কিছু ক্ষেত্রে ৬০% পর্যন্ত FTD কমিশন পেতে পারেন। তবে সব অফার একইভাবে কনভার্ট করে না বলে কিছু মন্তব্য পেয়েছি।

• CPA ও RevShare মডেল—৬০% পর্যন্ত (FTD) এবং আজীবন ডিপোজিটের ওপর ২০% পেতে পারেন
• একাধিক রেফারাল স্তর
• সাপ্তাহিক পেমেন্ট, মিনিমাম ৫০০ ডলার (ছোট অ্যাফিলিয়েটদের জন্য একটু অস্বস্তিকর হতে পারে)
• শীর্ষ পার্টনারদের জন্য বিশেষ শর্তের সুযোগ

FinMinistry অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রিভিউ

---

AMarkets Affiliate

AMarkets Affiliate অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

AMarkets হলো ২০০৭ সাল থেকে পরিচালিত একটি ফরেক্স ব্রোকারের পার্টনার প্রোগ্রাম। এখানে CPA ও Revenue Share (৮০% পর্যন্ত) উভয় অপশনই আছে। তবে মনে রাখবেন, কিছু অ্যাফিলিয়েট দেরিতে লিড যাচাই হওয়ার অভিযোগ করেছেন, যা পেমেন্ট প্রাপ্তিকে বিলম্বিত করতে পারে। https://www.amarkets.org/affiliate-program/

• দীর্ঘদিনের ফরেক্স ব্রোকার (MT4/MT5) নিয়ে কাজ করার সুযোগ
• CPA: রেজিস্ট্রেশন ও ডিপোজিটের ভিত্তিতে পেমেন্ট
• Revenue Share: ৮০% পর্যন্ত (সব অ্যাফিলিয়েট পান না)
• যথেষ্ট শর্ত পূরণ করতে পারলে বড়সড় ওয়ান-টাইম কমিশন

AMarkets অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রিভিউ

---

Pocket Option Affiliate

Pocket Option Affiliate অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

Pocket Option হচ্ছে একটি বাইনারি অপশন ব্রোকার, যেখানে রেভেনিউ শেয়ার ৮০% পর্যন্ত পাওয়া যায়। CPA পেমেন্ট চাইলে অনুরোধের মাধ্যমে সেট করা যায়। তবে সময়ে সময়ে “টেকনিক্যাল সমস্যা” নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে, যখন প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেসে বাধা হয় এবং ট্রাফিক চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। https://affiliate.pocketoption.com/

• বিশ্বব্যাপী ট্রাফিক গ্রহণযোগ্য, যদিও সব দেশে সমান ফল পাওয়া যায় না
• প্রস্তুত করা মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল পাবেন
• ২৪/৭ পেমেন্টের সুযোগ, মিনিমাম ১০ ডলার
• ড্যাশবোর্ডে পরিসংখ্যান ও অ্যানালিটিক্স (কিছু অ্যাফিলিয়েট অভিযোগ করেন তথ্য মাঝে মাঝে সামঞ্জস্যহীন)

• Standard: প্রতি মাসে ৪৯ জন ক্লায়েন্ট পর্যন্ত, ৫০% ডিপোজিট + ব্রোকারের লাভের ৫%
• Premium: ৫০–১৯৯ জন ক্লায়েন্ট, ৬০% + লাভের ৭%
• VIP: ২০০–৪৯৯ জন ক্লায়েন্ট, ৭০% + লাভের ১০%
• IB: ৫০০ বা তার বেশি ক্লায়েন্ট, ৮০% + লাভের ১০%

WebMoney, AdvCash, Perfect Money, Jeton, ক্রিপ্টোকয়েন্সি সহ আরও অনেক মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। Pocket Option অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রিভিউ

এটি লক্ষণীয় যে তাদের পার্টনার এগ্রিমেন্ট প্রায়ই আপডেট হয়—প্রায়শই এমন কিছু শর্ত যোগ করে যা অ্যাফিলিয়েটদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে:

• আগে সাব-অ্যাফিলিয়েট যুক্ত থাকা স্থায়ী ছিল; এখন এটি দুই বছর পর মেয়াদ শেষ হয়।
• Hold থেকে মূল ব্যালান্সে ফান্ড আনতে গেলে নির্দিষ্ট সংখ্যক FTD (First Time Deposit) প্রয়োজন; না হলে ফান্ড Hold-এই থেকে যায়।
• মাসে পাঁচটি FTD না আনতে পারলে উইথড্র নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যদি আপনার নিয়মিত ট্রাফিক ও সাইন-আপ থাকে, এসব বিধিনিষেধ খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। তবে নতুন বা ছোট ট্রাফিকের অ্যাফিলিয়েটদের জন্য এগুলো মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

---

Clever Aff

CleverAff অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

CleverAff মূলত Binarium ব্রোকারের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। ব্রোকারটি বিশেষত সিআইএস অঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো এলাকা থেকেও কিছু ট্রেডার পায়। প্রচার-সামগ্রী হয়তো বিশাল পরিমাণে নেই—রিভিউ থেকে বোঝা যায় ম্যাটেরিয়ালের পরিমাণ সীমিত, তবে তারা নিয়মিত আপডেটের চেষ্টা করে। প্রোগ্রাম লিংক: https://cleveraff.com/

• Revenue Share: ৫০–৭০%
• CPA মডেল
• Sub-Affiliate: রেফার করা পার্টনারদের আয়ের ৫% পর্যন্ত
• স্বয়ংক্রিয় মাসিক দুইবার পেমেন্ট (অনেক অ্যাফিলিয়েট এটি পছন্দ করেন)
• কিছু অ্যাফিলিয়েট মনে করেন অ্যানালিটিক্স আরও উন্নত করা দরকার

CleverAff রিভিউ

---

Intrade Bar

Intrade Bar অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

Intrade Bar রাশিয়ান-ভাষী ট্রেডারদের মধ্যে বেশ সম্মানজনক একটি নাম। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গেসঙ্গেই অ্যাক্টিভ হয়ে যায়, যদিও প্রচারমূলক কন্টেন্ট সীমিত—সম্ভবত আপনাকেই কিছু কাস্টম সমাধান বানাতে হবে। অফিসিয়াল লিংক — https://intrade.bar/।

• ৫৩% রেভেনিউ শেয়ার এবং ১% টার্নওভার শেয়ার (এখানে বাড়তি হারের সুযোগ কম)
• কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে জমা হয়, তবে তৈরি করা স্ট্যান্ডার্ড বিজ্ঞাপন উপকরণ কম
• আপনার অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই যুক্ত—কেউ কেউ এটাকে সুবিধাজনক মনে করেন, কেউ কম
• বিস্তারিত ক্লায়েন্ট পরিসংখ্যান পাওয়া যায়

Intrade Bar ব্রোকার ও অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের পর্যালোচনা

---

এগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোনো অভিজ্ঞতা থাকে, নিচে কমেন্টে জানাতে পারেন। সবার মতামত অন্যদের জন্য সাহায্যকারী হতে পারে!