বাইনারি অপশনের ধরন: প্রধান প্রকার ও বৈশিষ্ট্য (2025)
Updated: 29.04.2025
বাইনারি অপশনের বিভিন্ন ধরন ও বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন ব্রোকারের কাছে পাওয়া অপশনগুলোর প্রকারভেদ (2025)
যখন বাইনারি অপশন প্রথমবারের মতো ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে আসে, তখন একমাত্র ধরন ছিল “Up/Down” বা কল/পুট অপশন—দামের গতিমুখ সঠিকভাবে অনুমান করলে ট্রেডার লাভ পেতেন।
এখন বাজারে প্রচুর ভিন্ন ধরনের অপশন রয়েছে, যা ট্রেডিংয়ে আপনাকে কখনো না কখনো ব্যবহার করতে হতে পারে। আমার মনে হয় আগে থেকেই আপনি এদের সম্পর্কে জানলে ও কীভাবে এগুলো কাজ করে সে ধারণা থাকলে অনেক সুবিধা পাবেন—এতে আপনার সামনে অনেকটা স্বাধীনতার সুযোগ তৈরি হবে।
এখানে দুটি বোতাম থাকে: Up ও Down, যা দিক নির্বাচন করে। মূলত নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে (এক্সপাইরি টাইম) দাম বর্তমান মূল্যের চেয়ে ওপরে নাকি নিচে থাকবে—মাত্র ১ পয়েন্ট পার্থক্য হলেও প্রয়োজনীয়। যদি ট্রেডার মনে করেন দাম বাড়বে, তাহলে নির্দিষ্ট মেয়াদ বেছে নিয়ে “Up” ট্রেড ওপেন করবেন। ট্রেড খোলার সময় যে দাম ছিল, মেয়াদের শেষে দাম তার ওপরে হলে লাভ পাবেন (আগেই নির্ধারিত)। যদি নিচে চলে যায়, তাহলে পুরো বিনিয়োগ হারাবেন।
কিছু ব্রোকারে যদি এক্সপাইরি সময়ে দাম খোলার দামের সমান থাকে, তাহলে বিনিয়োগ ফেরত দেওয়া হয়, আবার কিছু ব্রোকারে তা নাও হতে পারে—শর্ত দেখে নেওয়া জরুরি।
এর মেয়াদ কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত হতে পারে। বেশি মেয়াদে (যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়) দাম খোলার বিন্দু থেকে অনেক দূর যেতে পারে—ঝুঁকি কম থাকে।
উদাহরণ: Down ট্রেড Up/Down অপশনে খোলা হয়েছিল ট্রেন্ডের সাথে মিল রেখে—
গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খবর প্রকাশের সময় দাম খুব দ্রুত কোনও একদিকে চলে—এই সময়ই High/Low অপশন ভালো ফল দিতে পারে।
উদাহরণ: গুরুত্বপূর্ণ নিউজের সময় “Higher” ট্রেড এনালাইসিস করে দেখুন— Up/Down-এর তুলনায় High/Low সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদের জন্য (৩০-৪৫ মিনিট বা তার বেশি) সেট করা হয়, যাতে দাম কাঙ্ক্ষিত স্তর অতিক্রম করতে পারে।
ফ্ল্যাট মার্কেটে (অর্থাৎ সাইডওয়েস) এটি ব্যবহার করা বৃথা, কারণ তখন দাম ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।
উদাহরণ— সাধারণত ১৫ মিনিট বা তার বেশি মেয়াদে এই অপশন ব্যবহার করা হয়, যাতে স্তর স্পর্শের সুযোগ বাড়ে।
ট্রেন্ড চলাকালীন যদি বড় রিট্রেসমেন্ট না হয়, তাহলে ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে স্তর রেখে ট্রেড করুন, যাতে দাম সেদিকে না গিয়ে লাভ নিশ্চিত হয়।
সাইডওয়েসে মূলত দাম একই চ্যানেলের মধ্যে ওঠানামা করে—কাজ হবে এমনভাবে স্তর চ্যানেলের বাইরে রাখতে হবে।
উদাহরণ— মেয়াদ যত কম, তত দ্রুত ট্রেড শেষ হবে—দাম স্তর স্পর্শের সুযোগ কমে। তবে বেশি সময় মানে স্বচ্ছ বিশ্লেষণ দরকার।
ট্রেডারের কাজ হলো ফ্ল্যাট মার্কেট চিহ্নিত করে বর্তমান প্রাইস চ্যানেল কোথায়, তারপর দেখবে অপশনের চ্যানেল সেটিংস কী।
মেয়াদ যত দীর্ঘ হয়, চ্যানেলের প্রস্থ ততটা ছোট হওয়ার সম্ভাবনা; আবার মেয়াদ স্বল্প হলে চ্যানেল তুলনামূলক প্রশস্ত হতে পারে।
মেয়াদ যত দীর্ঘ, চ্যানেল তত বড় হবে।
এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিকাংশ ট্রেডারের উপযোগী নয়।
এর কাজ ও ব্যবহার High/Low-এর মতোই, তাই পুনরুক্তি না করে আগের আলোচনা দেখতে পারেন।
সতর্কভাবে দাম কতোদূর যাবে অনুমান করতে হবে। বড় নিউজের সময় তরতর করে একদিকে গেলে এ ধরনের অপশন সুবিধা দিতে পারে।
সহজভাবে—
অনেক ট্রেডার ৪-৫ গুণ সম্ভাব্য লাভ রাখতে চায় তুলনায় ক্ষতির। এজন্য দীর্ঘ সময়ের ট্রেন্ডিং প্রয়োজন হতে পারে।
বড় খবরের সময় দাম দ্রুতগতিতে যায়। এছাড়াও টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ও ট্রেন্ড বোঝার দক্ষতা থাকলে অনেক এন্ট্রি পাওয়া যায়।
কাজের ধরন—
অবশ্যই নিজের পছন্দ ও সুবিধামতো নির্বাচন করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন “এক্সোটিক” অপশন নিয়ে খুব বেশি কৌশল নেই, আর ক্লাসিক Up/Down-এর জন্য প্রচুর কৌশল আছে।
নবাগতদের জন্য ক্লাসিক অপশন ভালো—সহজ, এবং ট্রেডিংয়ের মূল বিষয়গুলো বোঝার জন্য ঝামেলা কম। অভিজ্ঞরা নিজেরাই ভালো জানেন কীভাবে এবং কোন অপশনে ট্রেড করে নিয়মিত লাভ আনা যায়।
সবশেষে মনে রাখুন: ফ্রি লাভ শুধু ফাঁদে থাকে। লোভী হবেন না—সব টাকা একা আপনি কখনোই কামাতে পারবেন না, আবার প্রকৃত লাভও পালিয়ে যাবে না!
এখন বাজারে প্রচুর ভিন্ন ধরনের অপশন রয়েছে, যা ট্রেডিংয়ে আপনাকে কখনো না কখনো ব্যবহার করতে হতে পারে। আমার মনে হয় আগে থেকেই আপনি এদের সম্পর্কে জানলে ও কীভাবে এগুলো কাজ করে সে ধারণা থাকলে অনেক সুবিধা পাবেন—এতে আপনার সামনে অনেকটা স্বাধীনতার সুযোগ তৈরি হবে।
সূচিপত্র
- Up/Down Binary Option বা Call/Put
- High/Low বাইনারি অপশন
- One Touch বাইনারি অপশন
- No Touch বাইনারি অপশন
- Boundary, Channel, Range বাইনারি অপশন
- “Out of Bound” বা “Out of Range” বাইনারি অপশন
- Turbo বাইনারি অপশন অথবা টিক অপশন
- Spread বাইনারি অপশন
- Ladder বাইনারি অপশন
- Pairs বাইনারি অপশন
- CFD অথবা Contract For Difference অপশন
- Digital বাইনারি অপশন
- Binary Options-এ Forex বা CFD অপশন
- কোন অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য বেছে নেওয়া উচিত: কোনটি ভালো?
Up/Down বা Call/Put বাইনারি অপশন
সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় বাইনারি অপশন হলো Up/Down, যা ক্লাসিক হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগ সময়ই এটি ব্যবহার করা হয়।এখানে দুটি বোতাম থাকে: Up ও Down, যা দিক নির্বাচন করে। মূলত নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে (এক্সপাইরি টাইম) দাম বর্তমান মূল্যের চেয়ে ওপরে নাকি নিচে থাকবে—মাত্র ১ পয়েন্ট পার্থক্য হলেও প্রয়োজনীয়। যদি ট্রেডার মনে করেন দাম বাড়বে, তাহলে নির্দিষ্ট মেয়াদ বেছে নিয়ে “Up” ট্রেড ওপেন করবেন। ট্রেড খোলার সময় যে দাম ছিল, মেয়াদের শেষে দাম তার ওপরে হলে লাভ পাবেন (আগেই নির্ধারিত)। যদি নিচে চলে যায়, তাহলে পুরো বিনিয়োগ হারাবেন।
ট্রেডিংয়ে “Up/Down” বাইনারি অপশনের ব্যবহার
Up/Down অপশন যেকোনো বাজার পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায়—ট্রেন্ড চলাকালীন বা ফ্ল্যাট (পাশ্বর্ীয় অবস্থান) অবস্থায়ও। মূল কথা, মেয়াদ শেষের সময় দাম অন্তত ১ পয়েন্ট অনুমানকৃত দিক অতিক্রম করলেই লাভ।কিছু ব্রোকারে যদি এক্সপাইরি সময়ে দাম খোলার দামের সমান থাকে, তাহলে বিনিয়োগ ফেরত দেওয়া হয়, আবার কিছু ব্রোকারে তা নাও হতে পারে—শর্ত দেখে নেওয়া জরুরি।
এর মেয়াদ কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত হতে পারে। বেশি মেয়াদে (যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়) দাম খোলার বিন্দু থেকে অনেক দূর যেতে পারে—ঝুঁকি কম থাকে।
উদাহরণ: Down ট্রেড Up/Down অপশনে খোলা হয়েছিল ট্রেন্ডের সাথে মিল রেখে—
- “Up” এন্ট্রি প্রফিটে ক্লোজ হবে, যদি এক্সপাইরির সময় দাম ওপেনিং প্রাইসের চেয়ে ওপরে থাকে
- “Down” এন্ট্রি প্রফিটে ক্লোজ হবে, যদি এক্সপাইরির সময় দাম ওপেনিং প্রাইসের চেয়ে নিচে থাকে
High/Low বাইনারি অপশন
High/Low হলো Up/Down-এর তুলনায় বেশি জটিল ও সম্ভাব্য বেশি লাভজনক একটি ধরন। এখানেও দাম কোনদিকে যাবে ঠিক করতে হয়, তবে এতে একটি নির্দিষ্ট স্তর থাকে—দামের সমাপনী ওই লেভেলের ওপরে বা নিচে থাকতে হবে লাভ পেতে।- আপনি যদি মনে করেন দাম বাড়বে, তবে “Higher” ট্রেড ওপেন করবেন
- ট্রেড খোলার পর সেটি প্রাথমিকভাবে লস অবস্থায় থাকে—কারণ শুরুতেই দামকে পূর্বনির্ধারিত স্তর পার হতে হবে
- এক্সপাইরি শেষে দাম যদি সেই স্তরের ওপরে থাকে, আপনি আগেই ঠিক করা লাভ পাবেন
- নিচে থাকলে সব হারাবেন
ট্রেডিংয়ে High/Low বাইনারি অপশনের ব্যবহার
High/Low সাধারণত ট্রেন্ড চলাকালীন ব্যবহার করা হয়। ফ্ল্যাট মার্কেটে (যখন দাম প্রায় একই অঞ্চলে থাকে) এটি অকার্যকর।গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খবর প্রকাশের সময় দাম খুব দ্রুত কোনও একদিকে চলে—এই সময়ই High/Low অপশন ভালো ফল দিতে পারে।
উদাহরণ: গুরুত্বপূর্ণ নিউজের সময় “Higher” ট্রেড এনালাইসিস করে দেখুন— Up/Down-এর তুলনায় High/Low সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদের জন্য (৩০-৪৫ মিনিট বা তার বেশি) সেট করা হয়, যাতে দাম কাঙ্ক্ষিত স্তর অতিক্রম করতে পারে।
One Touch বাইনারি অপশন
One Touch অপশনে লাভ পাওয়া যায় যদি দাম মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্দিষ্ট স্তরকে অন্তত একবার স্পর্শ করে। একবার মাত্র ছোঁয়া লাগলেও ট্রেড প্রফিটে ক্লোজ হয়ে যায়। এর কাজের ধরন:- ধরুন আপনি মনে করছেন দাম পড়বে (Down), ট্রেড ওপেন করেন
- একটি স্তর (মূল্যের নিচে) ঠিক করা থাকে, যা দামকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্পর্শ করতে হবে
- দাম যদি সেই স্তর ছুঁয়ে ফেলে, আগেভাগেই ট্রেড বন্ধ হবে ও পূর্বনির্ধারিত লাভ পাবেন
- স্পর্শ না করলে লস
ট্রেডিংয়ে One Touch বাইনারি অপশনের ব্যবহার
One Touch সাধারণত ট্রেন্ড বা শক্তিশালী দোলাচলে (ইমপালস) উপকারী। দাম যদি সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স ভেঙে যায় বা রিট্রেসমেন্ট হয়, তাহলে স্তর স্পর্শ করার সম্ভাবনা বাড়ে।ফ্ল্যাট মার্কেটে (অর্থাৎ সাইডওয়েস) এটি ব্যবহার করা বৃথা, কারণ তখন দাম ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।
উদাহরণ— সাধারণত ১৫ মিনিট বা তার বেশি মেয়াদে এই অপশন ব্যবহার করা হয়, যাতে স্তর স্পর্শের সুযোগ বাড়ে।
No Touch বাইনারি অপশন
No Touch হলো One Touch-এর উল্টো। এখানে দাম কোনো একটি স্তর স্পর্শ করবে না, সেটাই পূর্বাভাস। কাজের ধরন—- আপনি ভাবছেন দাম ধীরে ধীরে ওপরে যাবে, তবে নির্দিষ্ট নিচের স্তর স্পর্শ করবে না। “Up” দিয়ে ট্রেড ওপেন করুন
- একটি স্তর থাকবে, যা যদি ট্রেড মেয়াদ শেষের আগে স্পর্শ করে, তাহলে সব হারাবেন
- স্পর্শ না করলে লাভ পাবেন
ট্রেডিংয়ে No Touch বাইনারি অপশনের ব্যবহার
No Touch sideways মার্কেট বা ট্রেন্ড দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। আপনাকে দাম কোথায় যাবে না, সেটা বুঝতে হবে।ট্রেন্ড চলাকালীন যদি বড় রিট্রেসমেন্ট না হয়, তাহলে ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে স্তর রেখে ট্রেড করুন, যাতে দাম সেদিকে না গিয়ে লাভ নিশ্চিত হয়।
সাইডওয়েসে মূলত দাম একই চ্যানেলের মধ্যে ওঠানামা করে—কাজ হবে এমনভাবে স্তর চ্যানেলের বাইরে রাখতে হবে।
উদাহরণ— মেয়াদ যত কম, তত দ্রুত ট্রেড শেষ হবে—দাম স্তর স্পর্শের সুযোগ কমে। তবে বেশি সময় মানে স্বচ্ছ বিশ্লেষণ দরকার।
Boundary, Channel, Range বাইনারি অপশন
“Boundary” বা “Range” অপশন হল এমন অপশন, যেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে দাম নির্দিষ্ট দুটি সীমানার মধ্যে থাকলে লাভ হয়। কাজের ধরন—- আপনি মনে করছেন দাম সামনের দিকে সাইডওয়েসে থাকবে
- অপশনটির দুইটি সীমা (উপরে ও নিচে) নির্ধারিত থাকে
- মেয়াদ শেষের সময় যদি দাম ওই দুই সীমার ভেতরে থাকে, লাভ পাবেন
- বাইরে গেলে ক্ষতি
ট্রেডিংয়ে “Boundary”, “Channel” বা “Range” বাইনারি অপশনের ব্যবহার
এটি শান্ত বাজার (সাইডওয়েস, ধীরগতির ট্রেন্ড) অবস্থায় উপযোগী। বড় খবরের সময় এটির ব্যবহার অর্থহীন।ট্রেডারের কাজ হলো ফ্ল্যাট মার্কেট চিহ্নিত করে বর্তমান প্রাইস চ্যানেল কোথায়, তারপর দেখবে অপশনের চ্যানেল সেটিংস কী।
মেয়াদ যত দীর্ঘ হয়, চ্যানেলের প্রস্থ ততটা ছোট হওয়ার সম্ভাবনা; আবার মেয়াদ স্বল্প হলে চ্যানেল তুলনামূলক প্রশস্ত হতে পারে।
“Out of bound” বা “Out of range” বাইনারি অপশন
এটি উপরের “Range” অপশনের বিপরীত। এখানে লাভ হয় যদি মেয়াদের সময় দাম চ্যানেলের বাইরে থাকে। কাজের ধরন—- আপনি ভাবছেন সামনে দাম শক্তিশালী ট্রেন্ড নেবে, সাইডওয়েস হবে না
- অপশনটি দুইটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়
- শেষ সময়ে দাম ওই চ্যানেলের ভেতরে থাকলে ক্ষতি
- বাইরে থাকলে লাভ
“Out of Boundary” বা “Out of Range” বাইনারি অপশনের ব্যবহার
এর মূলত ট্রেন্ডিং মার্কেট বা বড় অর্থনৈতিক খবরে কার্যকর। সাইডওয়েস মার্কেটে তা কাজে আসে না।মেয়াদ যত দীর্ঘ, চ্যানেল তত বড় হবে।
Turbo বাইনারি অপশন বা টিক অপশন
“Turbo” বা টিক অপশন খুব স্বল্পমেয়াদি, ক্ষুদ্রতম মূল্য-পরিবর্তনে কাজ করে। এর কাজ Up/Down-এর মতোই:- আপনি দিক বেছে নেন (উদা. Up)
- ট্রেড খোলার পর টিক গণনা শুরু হয়
- সময়ের শেষে দাম ওপরে থাকলে লাভ
- নিচে থাকলে লস
এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিকাংশ ট্রেডারের উপযোগী নয়।
ট্রেডিংয়ে Turbo বা টিক অপশনের ব্যবহার
যে কোনো মার্কেট পরিস্থিতিতে (ট্রেন্ড, ফ্ল্যাট, বড় নিউজ) ব্যবহার করা যায়। কিন্তু বাস্তবে এটি প্রায় “লটারির” মতো, কারণ অতি স্বল্প সময়ে সঠিক পূর্বাভাস কঠিন।Spread বাইনারি অপশন
“Spread” অপশন অনেকটা Higher/Lower-এর মতো—দিক নির্ধারণের পাশাপাশি দামকে নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে হবে (যেমন অন্তত ২০ পয়েন্ট ওপরে)।এর কাজ ও ব্যবহার High/Low-এর মতোই, তাই পুনরুক্তি না করে আগের আলোচনা দেখতে পারেন।
Ladder বাইনারি অপশন
Ladder অপশন অনেক লাভজনক কিন্তু ট্রেড করা কঠিন। এখানে লাভ ১০০০-২০০০% পর্যন্ত উঠতে পারে—উঁচু লাভ মানেই উঁচু ঝুঁকি। কাজের ধরন—- “Ladder” অপশনে বিভিন্ন স্তর থাকে, যা বর্তমান দামের চেয়ে যত দূরে, লাভের সম্ভাব্য হার তত বেশি
- দামকে সেই স্তরে পৌঁছাতে হবে (বা স্পর্শ করতে হবে) মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে
- স্পর্শ করলে লাভ (আগেই জানা), স্পর্শ না করলে লস
ট্রেডিংয়ে Ladder অপশনের ব্যবহার
একটি সঠিক ট্রেডে ২০০০% পর্যন্ত লাভ মিলতে পারে—যেমন বিনিয়োগ ২০ গুণ করা। তবে ব্রোকার উভয় পক্ষই সুবিধা পায় না, কারণ ওরা সহজে এত বড় অঙ্ক দেবে না। প্রায়ই দেখতে পাবেন শর্ত মোটেই “সহজ” নয়—মনে হবে আপনাকে অনেক দূরের স্তরে ট্রেড করতে হচ্ছে, বা মার্কেটের বিপরীতে যেতে হচ্ছে।সতর্কভাবে দাম কতোদূর যাবে অনুমান করতে হবে। বড় নিউজের সময় তরতর করে একদিকে গেলে এ ধরনের অপশন সুবিধা দিতে পারে।
Pairs বাইনারি অপশন
“Pairs” অপশনে দুটি ভিন্ন অ্যাসেট (সাধারণত শেয়ার বা ইনডেক্স) তুলনা করা হয়। যেমন Apple/Google শেয়ারের তুলনা।CFD বা Contract For Difference অপশন
ব্রোকাররা Binary Options আর Forex মিশিয়ে CFD Contracts তৈরি করেছে। CFD মূলত ঐক্যমতের ভিত্তিতে ওপেনিং এবং ক্লোজিং প্রাইসের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারক, যে দিক সঠিক পূর্বাভাস দেবে সেই জিতবে।সহজভাবে—
- ট্রেডার একটি দিক বেছে নিয়ে ট্রেড ওপেন করে
- দাম তার অনুকূলে গেলে প্রতি পয়েন্টে আয় বাড়ে (লিভারেজের ওপর নির্ভর করে)
- বিপরীতে গেলে ক্ষতি বাড়ে
- চাইলে যেকোনো সময় ট্রেড বন্ধ করা যায়—লাভ বা লস যা থাকুক
ট্রেডিংয়ে CFD বা Contract For Difference অপশনের ব্যবহার
CFD ট্রেন্ডিং মার্কেটে খুবই ফলদায়ক হতে পারে—সঠিক পূর্বাভাস হলে দ্রুত বড় লাভ। তবে উল্টোটা ঘটলেও বড় ক্ষতি।অনেক ট্রেডার ৪-৫ গুণ সম্ভাব্য লাভ রাখতে চায় তুলনায় ক্ষতির। এজন্য দীর্ঘ সময়ের ট্রেন্ডিং প্রয়োজন হতে পারে।
বড় খবরের সময় দাম দ্রুতগতিতে যায়। এছাড়াও টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ও ট্রেন্ড বোঝার দক্ষতা থাকলে অনেক এন্ট্রি পাওয়া যায়।
Digital বাইনারি অপশন
Digital অপশনও এক ধরনের উচ্চ লাভের ট্রেডিং উপকরণ, স্বল্প সময়ে ভালো অঙ্কের আয় সম্ভব। কাজের ধরন—- একটি স্তর বেছে নিতে হয়, দাম মেয়াদ শেষে ওই স্তরের ওপরে বা নিচে থাকবে বলে পূর্বাভাস করা হয়
- স্তর যত দূরে, তত বেশি লাভের হার
- সঠিক হলে পূর্ব-নির্ধারিত লাভ, ভুল হলে বিনিয়োগ হারাবেন
- মেয়াদ চলাকালীন যেকোনো সময় ট্রেড বন্ধ করে লাভ নেয়া যায়, যা পরিবর্তনশীল
Binary Options-এ Forex বা CFD অপশন
Forex অপশন হলো Forex কন্ট্রাক্টকে বাইনারি অপশনের আদলে উপস্থাপন করা। CFD-র মতোই, এখানে Stop Loss (বিনিয়োগ) ও Take Profit (লাভের সীমা) বেছে নেওয়া যায়।কাজের ধরন—
- আপনি দিক নির্বাচন করে ট্রেড ওপেন করবেন (Up বা Down)
- দাম অনুকূলে গেলে প্রতি পিপে লাভ, বিপরীতে গেলে ক্ষতি
- যেকোনো সময় বা Stop Loss/Take Profit স্তরে পৌঁছালে ট্রেড বন্ধ হয়
- এতে নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই—যত দূর দাম যাবে, লাভ/ক্ষতি বাড়বে। তবে বিনিয়োগ ও Take Profit দ্বারা সীমিত।
কোন অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য বেছে নেবেন: কোনটি ভালো?
এখন বুঝতেই পারছেন, বাইনারি অপশনে অনেক ধরনের অপশন আছে—প্রত্যেকটির সুবিধা-অসুবিধা এবং লাভের হার আলাদা। সাধারণত যেগুলোর লাভ বেশ উঁচু, সেগুলোতেও ঝুঁকি বেশি। CFD কন্ট্রাক্ট তুলনামূলক ব্যতিক্রম, তবে সেগুলো জটিলতর।অবশ্যই নিজের পছন্দ ও সুবিধামতো নির্বাচন করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন “এক্সোটিক” অপশন নিয়ে খুব বেশি কৌশল নেই, আর ক্লাসিক Up/Down-এর জন্য প্রচুর কৌশল আছে।
নবাগতদের জন্য ক্লাসিক অপশন ভালো—সহজ, এবং ট্রেডিংয়ের মূল বিষয়গুলো বোঝার জন্য ঝামেলা কম। অভিজ্ঞরা নিজেরাই ভালো জানেন কীভাবে এবং কোন অপশনে ট্রেড করে নিয়মিত লাভ আনা যায়।
সবশেষে মনে রাখুন: ফ্রি লাভ শুধু ফাঁদে থাকে। লোভী হবেন না—সব টাকা একা আপনি কখনোই কামাতে পারবেন না, আবার প্রকৃত লাভও পালিয়ে যাবে না!
পর্যালোচনা এবং মন্তব্য