কেন 2025 সালে বাইনারি অপশন ও CFD ট্রেডিংয়ের জন্য Deriv সেরা পছন্দ

Deriv হলো একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন ব্রোকার, যা বাইনারি অপশন ও CFD ট্রেডিং সেবা প্রদান করে। এর মূল শেকড় শিল্পের অন্যতম প্রাচীন কোম্পানির সাথে যুক্ত। ১৯৯৯ সালে (Binary.com নামে) এর যাত্রা শুরু, এবং ২০২০ সালে Deriv নামে রিব্র্যান্ড হয়। এখন এটি বিশ্বের ২.৫ মিলিয়নেরও বেশি ট্রেডারকে সেবা দিচ্ছে। এই রিভিউতে আমরা Deriv প্ল্যাটফর্মের মূল বৈশিষ্ট্য, ট্রেডিং শর্তাবলী, ব্যবহারকারীদের বাস্তব পর্যালোচনা এবং Pocket Option, Binolla, Quotex প্রভৃতির সাথে তুলনা করে দেখব।

Deriv কী? মৌলিক ধারণা

Deriv হলো একটি বৈশ্বিক ব্রোকার, যা বাইনারি অপশন ও CFD সরবরাহ করে। কোম্পানিটি Binary.com নামে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০২০ সালে Deriv নামে রিব্র্যান্ড হয়। ২০+ বছরের অভিজ্ঞতায়, ব্রোকারটি শিল্পের অগ্রপথিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে এবং বিপুল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে।

Deriv প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট পাবেন—প্রচলিত ফরেক্স, স্টক, পণ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে Deriv-এর নিজস্ব সিনথেটিক ইন্ডেক্স (ভোলাটিলিটি ইনডেক্স), যা ২৪/৭ ট্রেড করা যায়। এছাড়াও, Deriv কেবল বাইনারি অপশন নয়, CFD কন্ট্র্যাক্ট এবং Multipliers (এক ধরনের ডেরিভেটিভ, যেটি অপশন ও মার্জিন ট্রেডিং-এর বৈশিষ্ট্য মিশিয়ে তৈরি) অফার করে।

নিয়ন্ত্রন ও লাইসেন্স: একাধিক বিচারব্যবস্থায় Deriv নিয়ন্ত্রিত—যেটি বাইনারি অপশন ব্রোকারদের জন্য বেশ বিরল। Malta Financial Services Authority (MFSA), Labuan FSA (Malaysia), Vanuatu Financial Services Commission (VFSC), এবং BVI FSC (British Virgin Islands) লাইসেন্স রয়েছে Deriv গ্রুপের কাছে। এটি ট্রেডারদের আস্থার ভিত্তি বাড়িয়ে তোলে এবং নিয়ন্ত্রক মানদণ্ড মেনে চলে। বেশিরভাগ প্রতিযোগীর কাছে এত শক্ত নিয়ন্ত্রণ থাকে না (পরে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে)।

ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম: Deriv বহুমুখী প্ল্যাটফর্ম সমাহারের জন্য পরিচিত। মোট সাতটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যায়—যেমন DTrader ওয়েব টার্মিনাল, ক্লাসিক MetaTrader 5 (Deriv MT5), উন্নত কৌশলের জন্য cTrader-নির্ভর Deriv X, মোবাইল অ্যাপ Deriv GO, এবং DBot (বট নির্মাণের জন্য)। এই বহুমুখীতা সকল স্তরের ট্রেডারদের (শুরু থেকে এলগোরিদমিক বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত) প্রয়োজন পূরণ করে।

নিচের টেবিলে Deriv-এর প্রধান তথ্য সারসংক্ষেপ করা হলো:

উপরের তালিকা থেকে বোঝা যায়, Deriv একদিকে নিম্ন এন্ট্রি বাধা (৫ ডলার থেকে ডিপোজিট, ০.৩৫ ডলার থেকে ট্রেড) এবং অন্যদিকে নানা ইন্সট্রুমেন্ট ও প্ল্যাটফর্মের বিশাল পছন্দ প্রদান করে। এবার আমরা ব্রোকারটির প্রধান সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলব।

Deriv-এর সুবিধা ও অসুবিধা

একটি ভারসাম্যপূর্ণ মূল্যায়নের জন্য, নিচে Deriv-এর প্রধান ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো প্রতিযোগী বিশ্লেষণ ও ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখ করা হলো:

Deriv-এর ইতিবাচক দিক:

• দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা ও আস্থা: ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্র্যান্ডটি সক্রিয় আছে, যা এর নির্ভরযোগ্যতা ও বাজারে টিকে থাকার শক্তিকে তুলে ধরে। Deriv (Binary Group) ১৯৯৯ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং সারা বিশ্বের ট্রেডারদের আস্থা অর্জন করেছে।
• নিয়ন্ত্রিত ব্রোকার: মাল্টা, ভানুয়াটু, ল্যাবুয়ান, BVI থেকে একাধিক লাইসেন্স থাকার অর্থ হলো ব্রোকারটি বহিরাগত পর্যবেক্ষণের অধীনে কাজ করে, যা বিশেষ করে বাইনারি অপশন অফার করে এমন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে খুবই ব্যতিক্রমী। ফলে ট্রেডাররা অতিরিক্ত সুরক্ষা পায়।
• ন্যূনতম ডিপোজিট কম: মাত্র ৫ ডলার ডিপোজিট দিয়ে শুরু করা যায়, যা ব্রোকারদের মধ্যে অন্যতম কম। এমনকি নতুন ট্রেডাররাও সামান্য মূলধনে ট্রেডিং পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আর ট্রেড সাইজ ০.৩৫ ডলার থেকে শুরু হওয়ার ফলে ক্ষতির আশঙ্কা কমিয়ে নানা কৌশল পরীক্ষা করা সম্ভব।
• একাধিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম: সহজ ওয়েব ইন্টারফেস থেকে শুরু করে MetaTrader 5 এবং নিজস্ব বট বিল্ডার পর্যন্ত Deriv নানা প্ল্যাটফর্ম অফার করে। মোট ৭টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। যে কেউ নিজের পছন্দ মতো ইন্টারফেস বেছে নিতে পারেন।
• বিস্তৃত ইন্সট্রুমেন্ট রেঞ্জ: Deriv-এ ১৫০+ মার্কেটে ট্রেড করা যায়—ফরেক্স, স্টক ইন্ডেক্স, পণ্যদ্রব্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি, সিনথেটিক ইন্ডেক্স ইত্যাদি। সিনথেটিক মার্কেটের সৌজন্যে বাইনারি অপশন সপ্তাহের সাত দিন, ২৪ ঘণ্টাই ট্রেড করা যায়।
• প্রতিযোগিতামূলক ট্রেডিং শর্ত: CFD-তে Deriv তুলনামূলকভাবে কম স্প্রেড অফার করে (যেমন EUR/USD প্রায় ~০.৫ পিপস, কোনো কমিশন ছাড়াই), যা বেশ আকর্ষণীয়। বাইনারি অপশনে ৯০%+ পর্যন্ত পেআউট পাওয়া যেতে পারে (অ্যাসেটের ওপর নির্ভর করে), সর্বোচ্চ প্রফিট একটি কন্ট্রাক্টে ৫০,০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
• কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নেই: প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে যে, গ্রাহকদের অর্থ তাদের নিজস্ব অপারেশন ফান্ড থেকে পৃথক রাখা হয় (সেগ্রেগেটেড অ্যাকাউন্ট)। অর্থাৎ আপনার ডিপোজিট কোম্পানির কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার হয় না, যা আস্থার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• টানা ২৪ ঘণ্টা সাপোর্ট: গ্রাহক সেবা ২৪/৭ চালু থাকে লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে। এছাড়া রয়েছে বিশদ হেল্প সেন্টার ও কমিউনিটি ফোরাম, যেখানে অভিজ্ঞ ট্রেডার ও Deriv-এর প্রতিনিধি সরাসরি সহায়তা করেন।
• গোপন ফি নেই: সাধারণত ডিপোজিট ও উত্তোলনে Deriv আলাদা কোনো ফি নেয় না (যদিও পেমেন্ট পদ্ধতির নিজস্ব চার্জ থাকতে পারে)। লুকানো চার্জ বা অতিরিক্ত ফি সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মটি আগেই জানায় (যেমন ১২ মাস কোনো অ্যাকটিভিটি না থাকলে ইনঅ্যাকটিভিটি ফি নেওয়া হয়)।
• উদ্ভাবন ও পুরস্কার: ২০২৩–২৪ সময়কালে Deriv “Broker of the Year 2024” এবং “Most Innovative Broker 2023” সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে (UF Awards)। যা পেশাদার সম্প্রদায়ের কাছে এর অবস্থানকে আরো সুসংহত করে।

Deriv-এর সীমাবদ্ধতা:

• কিছু অঞ্চলে অকার্যকর: যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কিছু কঠোর নিয়ন্ত্রিত দেশে Deriv সেবা দেয় না (যেমন কানাডা), এবং কিছু দেশে (যেখানে বাইনারি অপশন বা CFD নিষিদ্ধ) প্রবেশ করা যায় না। তাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ট্রেডারদের জন্য বিকল্প ব্রোকার খুঁজতে হয়।
• বাইনারি অপশনের উচ্চ ঝুঁকি: নিয়ন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও, বাইনারি অপশন নিজেই একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য। সঠিক কৌশল ছাড়া নতুনরা সহজেই ডিপোজিট হারাতে পারেন। যদিও Deriv ডেমো অ্যাকাউন্ট ও শিক্ষামূলক উপকরণ সরবরাহ করে, তবু বাস্তব অর্থ বিনিয়োগে সতর্কতা প্রয়োজন।
• সীমিত শিক্ষামূলক রিসোর্স: কিছু প্রতিযোগীর তুলনায় Deriv-এর প্রশিক্ষণমূলক কন্টেন্ট কিছুটা কম বিস্তৃত। বিস্তারিত কোর্স বা ওয়েবিনারের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।
• ফোন সাপোর্ট নেই: কাস্টমার সাপোর্ট লাইভ চ্যাট ও ইমেইলে সীমিত; জরুরি প্রয়োজনে ফোন কলের বিকল্প নেই। কিছু গ্রাহক এটিকে অসুবিধা বলে মনে করেন।
• অনেক প্ল্যাটফর্মের মধ্যে বাছাই করা জটিল: নবীন ট্রেডারদের DTrader, MT5, Deriv X ইত্যাদি মধ্যে কোনটি বেছে নেওয়া উচিত—তা বোঝা সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
• সিনথেটিক ইন্ডেক্স অভ্যন্তরীণ পণ্য: এগুলো ২৪/৭ লেনদেনের সুযোগ দিলেও, আসলে এগুলো বাস্তব বাজারের সাথে সংযুক্ত নয়। বাইরের কোনো মূল্য বেঞ্চমার্ক না থাকায়, মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে কিছু ট্রেডার সন্দেহ প্রকাশ করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত এটি মূলত Deriv-এর প্রতি আস্থা ও স্বচ্ছতার বিষয়।
• উত্তোলন সংক্রান্ত অভিযোগ: অনলাইনে মাঝে মাঝে উত্তোলন ও বট পারফরম্যান্স সংক্রান্ত নেতিবাচক মত পাওয়া যায়। যেমন, একজন ট্রেডার অভিযোগ করেছেন, “আমি Deriv-এ খুবই হতাশ হয়েছি। আমি তাদের বট ব্যবহার করে লাভ করতে শুরু করলে বটটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আমার লোকসান হয়। সিস্টেমটি অস্থির ও সন্দেহজনক মনে হয়েছে।” এছাড়া কখনও কখনও উত্তোলন দেরি বা অতিরিক্ত ভেরিফিকেশন প্রয়োজনের অভিযোগ থাকে। বড় ব্রোকার হলেও, কিছু ব্যবহারকারী অসন্তুষ্ট হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
• বড় ধরনের বোনাসের অভাব: অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর মতো বড় ডিপোজিট বোনাস বা প্রমোশন Deriv অফার করে না। নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ মানতে গিয়ে লাইসেন্সকৃত ব্রোকাররা সাধারণত এই ধরনের বোনাস কম দিতে পারে। এটিও একদিকে স্বচ্ছতা বোঝায়, তবে কারো কারো কাছে কম “উপকারী” বলে মনে হতে পারে।

সব মিলিয়ে, Deriv-এর ইতিবাচক দিকগুলো অসুবিধাগুলোর চেয়ে ওজনদার, বিশেষ করে নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে। অনেক সীমাবদ্ধতাই পণ্যের প্রকৃতির সাথে জড়িত (যেমন বাইনারি অপশনের ঝুঁকি) বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট। আর ইতিবাচকগুলো বেশি মৌলিক (নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা, প্রতিযোগিতামূলক শর্ত)। পরবর্তীতে আমরা Deriv-এর মূল ফিচার—প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীদের মতামত পর্যন্ত বিশদে আলোচনা করব, তারপর প্রতিযোগীদের সাথে তুলনা করব।

Deriv-এর নিয়ন্ত্রণ ও নির্ভরযোগ্যতা

ব্রোকার বাছাইয়ের সময় প্রধান প্রশ্ন হলো: কীভাবে এটির ওপর আস্থা রাখা যায়? নির্ভরযোগ্যতার (Trust) দৃষ্টিকোণ থেকে Deriv-এর একাধিক শক্তিশালী দিক রয়েছে:

লাইসেন্স ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কমপ্লায়েন্স

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, Deriv-এর একাধিক নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে:

• Deriv Investments (Europe) Ltd – MFSA (মাল্টা) দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পরিচালনার জন্য।
• Deriv (FX) Ltd – Labuan FSA (মালয়েশিয়া) দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
• Deriv (BVI) Ltd – BVI FSC (ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ) দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
• Deriv (V) Ltd – VFSC (ভানুয়াটু) দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত।

একাধিক লাইসেন্স থাকার মানে হলো, কোম্পানিটি পুঁজি, রিপোর্টিং, ও গ্রাহক সুরক্ষার মতো মানদণ্ডগুলো মেনে চলে। ইউরোপীয় লাইসেন্স গ্রাহকদের তহবিল সুরক্ষা ও ইনভেস্টর কম্পেনসেশন স্কিমের আওতায় রাখার নিশ্চয়তা দেয়। এভাবে নির্ভরযোগ্যতার মান বাড়ে। বাইনারি অপশন অফার করা বেশিরভাগ প্রতিদ্বন্দ্বী এ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রক অনুমোদন রাখে না (যেমন Pocket Option, Quotex, Binolla)।

দীর্ঘমেয়াদী ট্র্যাক রেকর্ড ও সুনাম

১৯৯৯ সাল থেকে কাজ করছে—এটি নিজেই অনেক কিছু বলে দেয়। এই সময়ে কোম্পানি বেশ কয়েকটি বাজার চক্র, সঙ্কট ও নিয়ন্ত্রক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে এবং ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে। ২০২০ সালে Binary.com সফলভাবে Deriv-এ রিব্র্যান্ড হওয়ার পরও গ্রাহক ধরে রেখেছে এবং পণ্য আরও সমৃদ্ধ করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত Deriv প্রায় ২.৫ মিলিয়ন গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। যদি এটি প্রতারণামূলক বা অদক্ষ হতো, তাহলে এত বড় ইউজার বেস গড়ে তোলা দুষ্কর হতো।

স্বচ্ছতা ও সার্বজনীন উপস্থিতি

Deriv-এর ওয়েবসাইটে লাইসেন্স, অফিস লোকেশন, শর্তাদি প্রভৃতি সম্পর্কে খোলামেলা তথ্য রয়েছে। কোম্পানিটি নানা ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে (যেমন ২০২৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যে অনুষ্ঠিত Smart Vision Investment Expo-তে Deriv “Top 100 Trusted Financial Institutions (MENA)” তালিকায় ছিল)। এছাড়া অফিসিয়াল ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থেকে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখে। এই ব্যাপক জনসংযোগ কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা (Authoritativeness) বাড়ায়।

গ্রাহকের তহবিল ও ডেটা সুরক্ষা

Deriv-এর পলিসি অনুযায়ী, ক্লায়েন্টদের অর্থ সেগ্রেগেটেড ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয় এবং কোম্পানির নিজস্ব অপারেশনাল ফান্ড থেকে পৃথক রাখা হয়। ফলে কোনো কারণে Deriv দেউলিয়া হয়ে গেলেও গ্রাহকদের টাকার সুরক্ষা থাকে। এছাড়া ডেটা এনক্রিপশন, দুই স্তরের যাচাই (2FA) এবং পরিচয় যাচাই (KYC) সহ স্বাভাবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলে।

ব্যবহারকারীর মতামত ও রেটিং

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেকোনো ব্রোকার সম্পর্কেই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য থাকে, তবে সামগ্রিকভাবে Deriv সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা লক্ষ করা যায়। বেশ কিছু স্বাধীন রিভিউতে Deriv-এর নিয়ন্ত্রক অবস্থা ও দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির কারণে এটি যথেষ্ট নিরাপদ বলে উল্লেখ করা হয়। FXEmpire-এর বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণেও পাওয়া যায়: “Deriv সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ছাপ ফেলেছে... আমি মনে করি এটি নিরাপদে ট্রেডিংয়ের উপযোগী।”

অনেক ট্রেডার অর্ডার এক্সিকিউশন ও দ্রুত উত্তোলন নিয়ে সন্তুষ্ট। অবশ্যই, কয়েকজন ব্যবহারকারী অভিযোগ পোস্ট করে (যেমন Sitejabber-এ) যে তারা উত্তোলনে দেরি পেয়েছেন বা অন্য সমস্যা হয়েছে, যা রেটিংকে কিছুটা কম টানে (১.৩/৫)। তবে লক্ষণীয় যে কোটি কোটি লেনদেনের মধ্যে সামান্য একটুখানি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সব ব্রোকারেই থাকে।

মনে রাখা উচিত, ট্রেডিং নিজেই ঝুঁকিপূর্ণ, এবং সব ব্রোকারের ক্ষেত্রেই কিছু ট্রেডার অসন্তুষ্ট হতে পারেন। মূল প্রশ্ন হলো, এসব সমস্যা পদ্ধতিগত কি না। Deriv-এর ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো কেলেঙ্কারি (যেমন ব্যাপকভাবে অর্থ আটকে রাখা) শোনা যায়নি। সাধারণত শর্তাবলী মেনে চললে ডিপোজিট ও উত্তোলনে জটিলতা হয় না। ব্রোকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তোলন প্রক্রিয়া করে থাকে, তারপর পেমেন্ট পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে বাস্তব টাকা পেতে একাধিক সময় লাগতে পারে। দেরি হলে কাস্টমার সাপোর্ট প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে (যা নিয়ন্ত্রিত ব্রোকারদের জন্য মানক AML নিয়মের অংশ)।

নির্ভরযোগ্যতার চূড়ান্ত মূল্যায়ন

সারাংশে, Deriv তার নিয়ন্ত্রক অবস্থান, দীর্ঘমেয়াদী বাজার উপস্থিতি ও স্বচ্ছতায় উচ্চমাত্রার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদর্শন করে। এটি নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় (যারা প্রায়ই অনিয়ন্ত্রিত) বড় আলাদা। অর্থ সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কিত ট্রেডারদের জন্য, বাইনারি অপশনে Deriv অন্যতম নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম।

Deriv প্ল্যাটফর্ম ও টুলস

Deriv-এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো এর প্রচুর ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ও টুলসের সমাহার। এখানে আমরা তাদের বিভিন্ন ফিচার নিয়ে আলোকপাত করব, যা ট্রেডিংয়ের অভিজ্ঞতার বিভিন্ন স্তরের জন্য উপযোগী।

Deriv ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম

DTrader – Deriv-এর নিজস্ব ওয়েব প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বাইনারি অপশন, ডিজিটাল কন্ট্রাক্ট ও মাল্টিপ্লায়ার ট্রেড করা যায়। DTrader ইন্টারফেস খুবই সহজবোধ্য: আপনি অ্যাসেট, দিক (আপ/ডাউন বা অন্যান্য কন্ট্রাক্ট টাইপ), স্টেক এমাউন্ট এবং সময়সীমা নির্ধারণ করেন। প্ল্যাটফর্মে সম্ভাব্য লাভ/ক্ষতি আগেই দেখা যায়। নতুনদের জন্য এটি সহজ, তবে চার্ট বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরও আছে।

Deriv MT5 (DMT5) – এটি Deriv-এর জন্য কাস্টমাইজ করা MetaTrader 5 প্ল্যাটফর্ম। এখানে ফরেক্স, ইন্ডেক্স, পণ্যদ্রব্য, সিনথেটিক ইন্ডেক্সের ওপর CFD ট্রেডিং করা যায়। মেটাট্রেডার ৫ প্ল্যাটফর্ম উন্নত টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ও এক্সপার্ট অ্যাডভাইজর ব্যবহারের সুযোগ দেয়। Deriv MT5-এ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট টাইপ আছে, যেমন সিনথেটিক অ্যাকাউন্ট (সিনথেটিক ইন্ডেক্সে ২৪/৭ ট্রেড), ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট (ফরেক্স ও পণ্যদ্রব্যের CFD সহ নির্দিষ্ট লিভারেজ) ইত্যাদি।

Deriv X – অত্যাধুনিক ও কাস্টমাইজেবল একটি টার্মিনাল (মূলত cTrader-এর সমতুল্য)। CFD ট্রেডারদের জন্য যারা নমনীয় ইন্টারফেস পছন্দ করেন। এখানে উইন্ডো ইচ্ছেমতো স্থানান্তর, উন্নত অর্ডার টাইপ ব্যবহার করা যায়। কিছু সোশ্যাল ট্রেডিং ফিচারও আছে, যাতে অন্য ট্রেডারদের কৌশল অনুসরণ বা শেয়ার করা যায় (cTrader প্ল্যাটফর্মের মতো)। এর ফলে কপি ট্রেডিং সহজ হয়।

DBot – Deriv-এর অনলাইন বট বিল্ডার। কোডিং ছাড়াই ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ ব্লক দিয়ে শর্তাবলী সাজিয়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং রোবট বানানো যায়। আপনি ডেমো বা রিয়েল অ্যাকাউন্টে এটির পারফরম্যান্স পরীক্ষা করতে পারেন। তবে স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ বেশকিছু অভিযোগ বটের পারফরম্যান্স সংক্রান্ত।

SmartTrader – Binary.com থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া আরেকটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। এটি সহজ ডিজাইনের দ্রুত ফিক্সড-কন্ট্রাক্ট ট্রেডের জন্য উপযোগী। SmartTrader কিছুটা সীমিত হলেও অনেকের কাছে এর সরলতা পছন্দের। DTrader মূলত SmartTrader-এর আপডেটেড সংস্করণ।

Deriv GO মোবাইল অ্যাপ – iOS/Android ডিভাইসের জন্য একটি অ্যাপ, যা আপনাকে যেকোনো জায়গা থেকে ট্রেড করার সুযোগ দেয়। Deriv GO তে DTrader-এর (বাইনারি অপশন ও মাল্টিপ্লায়ার) বেশিরভাগ ফিচার পাওয়া যায়, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টও করা যায়। এর স্থিতিশীলতা ও ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে ব্যবহারকারীরা সাধারণত প্রশংসা করে। আপনি চাইলে MT5 ব্যবহার করতে চাইলে স্ট্যান্ডার্ড মেটাট্রেডার অ্যাপ ইনস্টল করে Deriv-এর সার্ভারে যুক্ত হতে পারবেন।

MetaTrader 5 ফর মাল্টিপ্লায়ার (Deriv MT5) – স্ট্যান্ডার্ড MT5-এর বাইরে Deriv মাল্টিপ্লায়ার-ফিচারযুক্ত একটি মোবাইল অ্যাপ অফার করে (Deriv GO-এর সাথে কিছুটা মিল আছে, তবে এখানে অতিরিক্ত লিভারেজ কন্ট্রোলের সুবিধা থাকে)। মাল্টিপ্লায়ার একটি অনন্য ডেরিভেটিভ, যা মূল্যের ওঠানামায় লাভ বাড়ায়, কিন্তু ক্ষতি একটি নির্ধারিত পরিমাণে সীমাবদ্ধ থাকে (একটু নিয়ন্ত্রিত লিভারেজের মতো)।

সব মিলিয়ে, Deriv প্রায় সব ধরনের ট্রেডারের চাহিদা পূরণ করে: যদি আপনি একেবারে নবীন হন, তবে DTrader বা মোবাইল অ্যাপে সহজেই শুরু করতে পারেন; যদি উন্নত বিশ্লেষণ বা EA ব্যবহার করতে চান, MT5 বা Deriv X সেরা হতে পারে; আর যদি অটোমেশনে আগ্রহী হন, তবে DBot বা Deriv API ব্যবহার করতে পারেন। তুলনার বিচারে অনেক প্রতিযোগী নিজস্ব ওয়েব ও মোবাইল প্ল্যাটফর্মের বাইরে এতো উন্নত কোনো মেটাট্রেডার বা অটো ট্রেডিংয়ের সুযোগ দেয় না।

লভ্য ইন্সট্রুমেন্ট ও মার্কেট

বাইনারি অপশন

ইতিহাসগতভাবে Deriv-এর প্রধান পণ্যই বাইনারি অপশন। এখানে একাধিক ধরনের অপশন পাবেন: ডিজিটাল অপশন (ক্লাসিক আপ/ডাউন বা টাচ/নো-টাচ, যেখানে ফিক্সড পেআউট থাকে), Turbo (খুব স্বল্পমেয়াদী অপশন, সাধারণত ১ মিনিট বা তার চেয়ে কম), Vanilla Options (এক্সচেঞ্জে ট্রেড করা অপশনের মতো, প্রিমিয়াম পরিশোধ ও সীমাহীন লাভ সম্ভাবনা সহ), এবং Accumulators (২০২৩ সালে চালু হয়েছে, যা প্রতি টিকে লাভ বাড়িয়ে তোলে, সর্বোচ্চ ৫% পর্যন্ত টিকে-গ্রোথ হতে পারে)।

বাইনারি অপশন ৫০+ অ্যাসেটে ট্রেড করা যায়—কারেন্সি, ইন্ডেক্স, পণ্যদ্রব্য, সিনথেটিক ইন্ডেক্স ইত্যাদি। এক্সপায়ারি সময়সীমা একটা টিক (সিনথেটিক কন্ট্রাক্টের ক্ষেত্রে) অথবা ৩০ সেকেন্ড (Turbo) থেকে শুরু করে এক দিনেরও বেশি হতে পারে। একটি চুক্তিতে সর্বোচ্চ ফিক্সড পেআউট ৫০,০০০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে, যা সাধারণত অনেক ব্রোকারের চেয়ে বেশি (অধিকাংশ ব্রোকার ৫,০০০–১০,০০০ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখে)।

CFD ও ফরেক্স

Deriv সাম্প্রতিক বছরগুলোতে CFD সেগমেন্টে জোর বাড়িয়েছে। এখন এখানে শত শত মার্কেটে ট্রেড করা যায়। MT5 বা Deriv X ব্যবহার করে ~২৭০টির বেশি ইন্সট্রুমেন্ট ট্রেড করা সম্ভব:

• ফরেক্স: প্রায় ৫০টি কারেন্সি পেয়ার (মেজর, মাইনর, এক্সটিক)। স্প্রেড খুবই প্রতিযোগিতামূলক—যেমন EUR/USD ~০.৪–০.৫ পিপস সাধারণ অ্যাকাউন্টে, এবং অধিকাংশ ইন্সট্রুমেন্টে কমিশন নেই। কিছু অঞ্চলে ১:১০০০ পর্যন্ত লিভারেজ পাওয়া যায় (EU-তে অবশ্য ESMA বিধিনিষেধের কারণে ১:৩০)।
• ইন্ডেক্স ও স্টক: বিশ্বখ্যাত স্টক ইন্ডেক্স (S&P 500, Nasdaq, DAX ইত্যাদি) এবং Apple, Tesla ইত্যাদির মতো বড় কোম্পানির শেয়ারের ওপর CFD ট্রেড করতে পারবেন।
• কমোডিটি: গোল্ড, সিলভার, তেল সহ অন্যান্য পণ্যদ্রব্যের CFD পাওয়া যায়। অনেকে উল্লেখ করেছেন যে কম স্প্রেড (বিশেষ করে তেলের ক্ষেত্রে) স্ক্যাল্পারদের জন্য সুবিধাজনক।
• ক্রিপ্টোকারেন্সি: প্রায় ৩০টির মতো ক্রিপ্টো পেয়ার আছে (BTC/USD, ETH/USD ইত্যাদি), যা অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে দ্বিগুণ। ক্রিপ্টো-CFD ২৪/৭ ট্রেড করা যায়, ১:২ পর্যন্ত লিভারেজ আছে, কোনো বাড়তি কমিশন নেই। মূল্য ওঠানামা থেকে মুনাফা নেওয়ার জন্য আসল কয়েন না রেখেও এখানে স্পেকুলেট করা যায়।

সিনথেটিক ইন্ডেক্স

Deriv-এর বড় বিশেষত্ব হলো এর নিজস্ব “Derived Indices” বা সিনথেটিক ভোলাটিলিটি ইন্ডেক্স। এগুলো অবিরাম র‍্যান্ডম ডেটার মাধ্যমে বাজারের মতো আচরণ করে (যেমন Volatility ১০, ২৫, ৭৫, Jump, Crash/Boom ইন্ডেক্স ইত্যাদি)। বাস্তব স্টক এক্সচেঞ্জের সময়সূচির ওপর নির্ভর করে না, ফলে সপ্তাহে ৭ দিনই ট্রেড করা যায়।

অনেক ট্রেডার এই সিনথেটিক ইন্ডেক্স পছন্দ করেন দিন-রাত যেকোনো সময়ে ট্রেড করার সুযোগ ও নিয়মিত ভোলাটিলিটি থাকার জন্য। আপনি এখানে বাইনারি অপশন, CFD বা মাল্টিপ্লায়ারে ট্রেড করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এগুলো Deriv-এর নিজস্ব পণ্য—বাইরের কোনো প্রাইস বেঞ্চমার্ক নেই, তাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় আলাদা সতর্কতা প্রয়োজন।

মাল্টিপ্লায়ার

এটি Deriv-এর একটি বিশেষ ডেরিভেটিভ, যা বাইনারি অপশন ও মার্জিন ট্রেডিং-এর সমন্বয়। মাল্টিপ্লায়ার কোনো নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরে (যেমন x৫০ থেকে x১০০০ পর্যন্ত) লাভ-ক্ষতি বাড়ায়, তবে পূর্বনির্ধারিত অ্যামাউন্টের বাইরে ক্ষতি যায় না (একটি ধরণের সীমিত লিভারেজ বলা যায়)। অতিস্বল্প সময়ের বাজার ওঠানামা কাজে লাগাতে এটি জনপ্রিয়। ফরেক্স, ক্রিপ্টো, কিছু ইন্ডেক্স-এ DTrader ও মোবাইল অ্যাপে মাল্টিপ্লায়ার সাপোর্ট করে।

অ্যাকাউন্ট ও ট্রেডিং শর্তাবলী

Deriv-এ সাধারণত একটি প্রধান অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক সাব-অ্যাকাউন্ট (CFD, সিনথেটিক ইত্যাদি) পরিচালনা করা যায়। অ্যাকাউন্ট কারেন্সি হিসেবে USD, EUR, GBP, AUD এবং ক্রিপ্টো-মুদ্রা রাখতে পারবেন। ন্যূনতম ডিপোজিট ৫ ডলার, যা নতুনদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। ১২ মাস কোনো ট্রেড না করলে ইনঅ্যাকটিভিটি ফি প্রায় ২৫ ডলার (তারপর প্রতি ছয় মাস পরপর) চার্জ হয়।

লয়্যালটি বা VIP প্রোগ্রাম

বড় ব্যালেন্সের জন্য Deriv কোনো VIP স্তর প্রকাশ্যে ঘোষণা করে না, তবে অ্যাফিলিয়েট পার্টনারদের কাছ থেকে কখনও কখনও প্রোমো কোড পাওয়া যেতে পারে (যদিও ক্লাসিক ডিপোজিট বোনাস সাধারণত দেখা যায় না)। মূলত, Deriv-এর অ্যাকাউন্ট গঠন বেশ সহজ—জটিল মাল্টি-লেভেল সিস্টেম নেই।

আন্তঃসময়িক ফলাফল

মোটকথা, Deriv বহু পথে ট্রেড ও আয়ের সুযোগ দেয়। আপনি যদি ফিক্সড রিটার্ন সহ বাইনারি অপশন পছন্দ করেন, বা ফ্লোটিং লাভ চান (CFD), কিংবা ক্লাসিক MetaTrader ইন্টারফেস বা বট বিল্ডার ব্যবহার করতে ইচ্ছুক হন—সবই এখানে পাওয়া যায়। এই বহুমুখীতা, যা নতুন থেকে শুরু করে সব স্তরের ট্রেডারকেই সমানভাবে সাপোর্ট করে, সেটিই Deriv-এর স্বকীয়তা।

Deriv নিয়ে বাস্তব ব্যবহারকারীদের মতামত

যে কোনো রিভিউ ব্যবহারকারীদের বাস্তব মতামত ছাড়া অপূর্ণ থেকে যায়। এখানে Deriv সম্পর্কে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরণের মন্তব্য তুলে ধরা হলো, যাতে আপনাদের পূর্ণাঙ্গ ধারণা তৈরি হয়।

ইতিবাচক মন্তব্য:

অনেক ট্রেডার Deriv-এর মসৃণ পারফরম্যান্স ও বৈচিত্র্যময় অপশনের প্রসংশা করেন। ফোরাম ও সামাজিক মাধ্যমে অভিজ্ঞরা প্রায়ই বলেন:

• উত্তোলন সাধারণত দ্রুত। “আমি দুই বছর ধরে Deriv-এ ট্রেড করছি, Skrill দিয়ে কয়েকবার প্রফিট তুলেছি—প্রায় এক-দুই দিনের মধ্যে পেয়ে যাই, কোনো ঝামেলা হয়নি,” বলছেন এক গ্রাহক। অনেকে উল্লেখ করেন যে Deriv লাভজনক ট্রেড বাতিল বা কোট নিয়ে কারসাজি করে না, যেটা কিছু অনিয়ন্ত্রিত ব্রোকারের ক্ষেত্রে অভিযোগ থাকে।
• সিনথেটিক ইন্ডেক্স-এর অনুরাগীও কম নয়। সপ্তাহান্তেও ট্রেড করা যায় বলে অনেকে বলেন, “আমি Volatility 75 ইন্ডেক্সে ট্রেড করতে ভালোবাসি—ফরেক্স বন্ধ থাকলেও রাত-বিরাতে মুভমেন্ট পাওয়া যায়।” Binary.com/Deriv এবং সিনথেটিক ভোলাটিলিটি প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে, কারণ অন্য কেউ এভাবে এতো বিশদে অফার করে না।
• প্ল্যাটফর্ম ও টুলস. DBot নিয়ে অনেক প্রশংসা শোনা যায়—“আমি নিজের বট তৈরি করে ডেমোতে টেস্ট করেছি, দারুণভাবে চলছে। এখন সামান্য অঙ্কে লাইভ ট্রেড করে দেখছি, ফিচারটি আমার খুবই উপকারী লেগেছে।” Deriv X-এর সাজানো ইন্টারফেস ও দ্রুত ট্রেড এক্সিকিউশনও প্রশংসা পায়।
• কাস্টমার সাপোর্ট. অনেক ব্যবহারকারী বলছেন, “২৪/৭ সাপোর্ট বিশাল সুবিধা। আমার আইডি ভেরিফিকেশনে সমস্যা হচ্ছিল, লাইভ চ্যাটে মাত্র ১৫ মিনিটে সমাধান করে দিল—অনেক সহযোগিতামূলক।” Deriv কমিউনিটি ফোরামও সাহায্যকারী হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
• সামগ্রিক অভিজ্ঞতা. অনেকে মন্তব্য করেন যে Deriv “নির্ভরযোগ্য ব্রোকার, যা নতুন ও অভিজ্ঞ উভয় ধরনের ট্রেডারের চাহিদা পূরণ করে।” FXLeaders-এর বিশ্লেষণেও Deriv কে বিস্তৃত ফিচার ও নির্ভরযোগ্যতার কারণে সুপারিশ করা হয়।

নেতিবাচক মন্তব্য:

অবশ্যই, কিছু ট্রেডারের অভিজ্ঞতা ততোটা ইতিবাচক নয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু অভিযোগ নিচে তুলে ধরা হলো:

• উত্তোলন জটিলতা. কয়েকজন ট্রেডার বলেছেন যে তাদের উত্তোলন নিয়ে দেরি বা সমস্যা হয়েছে। এক ফোরামে পোস্ট ছিল “Deriv আমাকে ঘুরাচ্ছে, আমার অর্থ আটকে রেখেছে,” ইত্যাদি। কখনও ক্যাশিয়ার ত্রুটি বা ওয়ালেট ব্লক হওয়ার কথাও শোনা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গ্রাহকের KYC অসম্পূর্ণ বা বোনাস সম্পর্কিত শর্তাবলী অপূর্ণ ছিল। তবুও, এই ধরনের অভিজ্ঞতা কারো কাছে বিরক্তিকর লাগতেই পারে।
• বট ও কোট নিয়ে সন্দেহ. কিছু ব্যবহারকারী সিনথেটিক ইন্ডেক্সে বট চালিয়ে বলেছেন, “আমি বড় লট সাইজে যেতেই ডিপোজিট উড়ে গেল, এটা Deriv-এর কারসাজি।” ForexPeaceArmy-তেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন: “Deriv ভুয়া—ওরা সিনথেটিক ইন্ডেক্সে মূল্য নিয়ে খেলাধুলা করে।” এটি যাচাই করা কঠিন। যেহেতু সিনথেটিক মার্কেট বাইরের মূল্যমানের সাথে সংযুক্ত নয়, অনেকের মাঝেই সন্দেহ থেকে যায়। তবে কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে এই পণ্য অফার করছে এবং লক্ষাধিক গ্রাহক এটি ব্যবহার করছেন। যদি ব্যাপক কারসাজি হতো, সম্ভবত অনেক আগেই তা ফাঁস হয়ে যেত, কিন্তু সংশয় কিছু মানুষ রেখেই চলেন।
• অ্যাকাউন্ট ব্লক. আরেকধরনের অভিযোগ হলো, কিছু গ্রাহক বড় লাভ বা উত্তোলন চাওয়ার পর তাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়েছে, সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই। সাধারণত ব্রোকার দাবি করে, AML চেক বা শর্ত লঙ্ঘনের (মাল্টি-অ্যাকাউন্ট, বোনাসের অপব্যবহার ইত্যাদি) কারণে এমনটি করা হয়েছে। ঘটনাগুলো বিরল হলেও, ভুক্তভোগীরা “অন্যায় বন্ধ” বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন। তাই শর্তাবলী মেনে চলা এবং আগেভাগে পরিচয় যাচাই করা ভালো।
• কিছু জনপ্রিয় ফিচারের অভাব. গঠনমূলক মতামত যেমন: “Deriv-এর মধ্যে বিল্ট-ইন কপি ট্রেডিং থাকলে ভালো হতো,” (যদিও Deriv X-এ আংশিকভাবে সোশ্যাল ট্রেডিং আছে)। কারো কারো অভাববোধ—“আমি Pocket Option-এর মতো ডিপোজিট বোনাস বা প্রতিযোগিতা মিস করি।” Deriv এগুলো এখন পর্যন্ত সরাসরি দেয় না।

সার্বিক ব্যবহারকারীর মনোভাব: যারা নির্ভরযোগ্যতা ও বৈচিত্রময় ফিচার খোঁজেন, তাদের কাছে Deriv বেশ আকর্ষণীয়। নেতিবাচক মন্তব্য প্রধানত উচ্চ ঝুঁকির ট্রেডিং বা Deriv-এর কড়া নিরাপত্তা নিয়মের সাথে ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশার সংঘাত থেকে আসে (যেমন দ্রুত উত্তোলন চাওয়া কিন্তু অতিরিক্ত যাচাই প্রয়োজন)। তবুও, বিশাল গ্রাহকগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ Deriv-এ সন্তুষ্ট বলেই দেখা যায়।

প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে Deriv-এর তুলনা (Pocket Option, Binolla, Quotex)

বাইনারি অপশন ও ডিজিটাল ট্রেডিং মার্কেট বেশ ভিড়াক্রান্ত। Deriv ছাড়াও Pocket Option, Binolla, Quotex, IQ Option, Olymp Trade ইত্যাদি জনপ্রিয় ব্রোকার রয়েছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখিত তিনটি প্রতিদ্বন্দ্বী—Pocket Option, Binolla, Quotex—এর সাথে Deriv-এর তুলনামূলক আলোচনা করা হলো। মূল ফিচার ও শর্তাবলী মিলিয়ে দেখার জন্য নিচে একটি সারাংশ টেবিল দেওয়া হলো।

Pocket Option

২০১৭ সালে Gembell Limited (Seychelles) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ব্যবহারবান্ধব প্ল্যাটফর্ম ও আগ্রাসী প্রচারণার মাধ্যমে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। প্রায় ১০০টি অ্যাসেটে (ফরেক্স, স্টক, ক্রিপ্টো) সহজ high/low বাইনারি অপশন সরবরাহ করে।

নিয়ন্ত্রণ: প্রকৃত কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রক নেই—IFMRRC সার্টিফিকেট রয়েছে (যা সরকারি সংস্থা নয়)। একে অফশোর ব্রোকার হিসেবে ধরা যায়, তাই কিছু ঝুঁকি থাকে। তবু এটি নতুন ট্রেডারদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

অনন্য বৈশিষ্ট্য: সোশ্যাল ট্রেডিং ও টুর্নামেন্ট। Pocket Option-এ কপি ট্রেডিং বিল্ট-ইন আছে, যেখানে অন্যদের ট্রেড দেখা ও অনুসরণ করা যায়। নিয়মিত প্রতিযোগিতা ও নানা ধরণের গেমিফিকেশন (অ্যাকিভমেন্ট সিস্টেম) থাকে।

ন্যূনতম ডিপোজিট $৫০ (Deriv-এর চেয়ে বেশি), ন্যূনতম ট্রেড $১। পেআউট ~৯২% পর্যন্ত যেতে পারে (সাধারণত ৮০-৯০%)। এর ক্রিপ্টো উত্তোলন অপেক্ষাকৃত দ্রুত। যেহেতু এটি অনিয়ন্ত্রিত, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু দেশে নিষিদ্ধ বা সতর্কতায় রয়েছে (CFTC ব্ল্যাকলিস্টেড)। তবু যেসব অঞ্চলে নিয়ন্ত্রক কড়া নয়, সেখানে জনপ্রিয়।

Binolla

২০২১ সালে চালু হওয়া একটি অপেক্ষাকৃত নতুন প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনের (SVG) নিবন্ধনকৃত—Zen E-way LLC।

নিয়ন্ত্রণ: অনিয়ন্ত্রিত (একেবারে অফশোর)।

Binolla নিজেকে ডিজিটাল অপশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রচার করে, উচ্চ পেআউটের কথা বলে। এরপর (২০২৫ সালের শুরুতে) ফরেক্স ট্রেডিং যুক্ত করে। আনুমানিক ২০০ ইন্সট্রুমেন্ট (বেশিরভাগই ফরেক্স)। সর্বনিম্ন ডিপোজিট $১০, সর্বনিম্ন ট্রেড $১।

মুখ্য ফোকাস: উদীয়মান বাজার (ব্রাজিল ইত্যাদি), যেখানে Pix, Boleto ইত্যাদি স্থানীয় পেমেন্ট পদ্ধতি রয়েছে। ডেমো অ্যাকাউন্ট ও সহজ ইউআই নিয়ে এগোচ্ছে। তবে তথ্য সীমিত। Reddit-এ কেউ বলছিল, “Binolla এখনও তুলনামূলকভাবে অজানা।”

বস্তুনিষ্ঠ ব্যবহারকারীর রিভিউ তুলনামূলক কম। Sitejabber এ ৪.১/৫ রেটিং দেখা যায়, কিছু নতুন ট্রেডার সন্তুষ্টি জানিয়েছেন। আবার কিছু ফোরামে স্ক্যাম আশঙ্কাও শোনা যায়। যেহেতু একদম নতুন এবং কোনো নিয়ন্ত্রক নেই, সতর্ক হওয়া যুক্তিসঙ্গত।

Quotex

২০১৯ সালে (কোম্পানির ভাষ্যমতে) Awesomo Ltd প্রতিষ্ঠিত, সেশেলসে নিবন্ধনকৃত।

নিয়ন্ত্রণ: অনিয়ন্ত্রিত (Pocket Option-এর মতো IFMRRC ব্যতীত অন্য কোনো লাইসেন্স নেই)।

Quotex স্বল্পসময়ে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষ করে সহজ ডিজিটাল অপশন ইন্টারফেসের কারণে।

মুখ্য বৈশিষ্ট্য: খুবই আধুনিক ও দ্রুতগতির প্ল্যাটফর্ম। প্রায় ৪০০+ অ্যাসেট—ফরেক্স, স্টক, ইন্ডেক্স, ক্রিপ্টো, পণ্যদ্রব্য—উপর বাইনারি অপশন অফার করে। উচ্চ পেআউট (৯৫–৯৮%) উল্লেখযোগ্য, যা অনেক ব্রোকারের চেয়ে বেশি।

ন্যূনতম ডিপোজিট $১০, ন্যূনতম ট্রেড $১, ডেমো অ্যাকাউন্ট আছে। কখনও কখনও ৩০% বা তার বেশি ডিপোজিট বোনাস দেয়। প্ল্যাটফর্ম ওয়েব-ভিত্তিক এবং মোবাইল অ্যাপ আছে, তবে কোনো MT4/MT5 নেই।

সুনাম: Quotex দ্রুত বড় হয়েছে, কিন্তু ২০২১–২২ সালে স্প্যানিশ নিয়ন্ত্রক (CNMV) ও ইতালিয়ান নিয়ন্ত্রক (CONSOB) এর তরফে সতর্কীকরণ জারি হয়েছে যে, Quotex অনধিকারচর্চা করছে এবং প্রতারণামূলক হতে পারে। তবুও, উচ্চ পেআউট আর সহজ ইন্টারফেসের কারণে অনেকেই এটি ব্যবহার করছেন।

ব্রোকার তুলনা টেবিল

তুলনামূলক বিশ্লেষণ

উপরের টেবিল থেকে স্পষ্ট, Deriv-এর সাথে Pocket Option, Binolla, Quotex-এর বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা:
Deriv এই চারটির মধ্যে একমাত্র প্রকৃত নিয়ন্ত্রিত ব্রোকার, এবং দীর্ঘ কর্পোরেট ইতিহাস রয়েছে। Pocket Option ও Quotex কার্যত অনিয়ন্ত্রিত (IFMRRC সরকারি নয়), Binolla তো সম্পূর্ণ নতুন ও অনিয়ন্ত্রিত। ফলে সুরক্ষার ক্ষেত্রে Deriv অনেক এগিয়ে।

এন্ট্রি শর্ত:
Deriv মাত্র $৫ দিয়ে শুরু করার সুযোগ দেয়, যা Pocket Option ($৫–১০) এর সমান বা কিছুটা কম, আর Quotex ও Binolla’র সাথে তুলনায় ভালো। ট্রেড সাইজ $০.৩৫ পর্যন্ত নামিয়ে খুদে বিনিয়োগে পরীক্ষামূলকভাবে কৌশল প্রয়োগ করা সহজ। অন্যরা $১ ন্যূনতম ট্রেড অফার করে, যদিও সেটিও খুব বেশি নয়, কিন্তু $০.৩৫ আসলে ভালো সুবিধা।

প্ল্যাটফর্ম ও ফিচার:
Deriv এই দিক থেকে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময়—কেউই এতো ফিচার দেয় না। Pocket Option সোশ্যাল ট্রেডিং-এ জোর দিলেও, মেটাট্রেডার কিংবা উন্নত রোবট বিল্ডিং সিস্টেম নেই। Quotex ও Binolla একইভাবে প্রধানত স্ব-উন্নত প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল। Deriv সর্বাধিক: ক্লাসিক বাইনারি থেকে শুরু করে কাস্টম ইনস্ট্রুমেন্ট (Accumulators, Multipliers), উন্নত CFD, সিনথেটিক ইন্ডেক্স, MetaTrader ও বট—all in one।

পেআউট:
শুধু বাইনারি অপশন পেআউট বিবেচনায় Quotex সর্বোচ্চ (৯৮% পর্যন্ত)। Pocket Option ~৯০–৯২%, Deriv ~৯০% (কখনও ~৯৫%), Binolla ~৯০%। Deriv বড় ট্রেড সাইজে কন্ট্রাক্টে সর্বোচ্চ $৫০,০০০ লাভের সুযোগ রাখে, যা বেশিরভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বেশি (যারা ~৫,০০০–১০,০০০ ডলারে সীমিত)। ছোট ট্রেডে আপেক্ষিক হার হিসেবে Quotex’র উচ্চ পারসেন্টেজ আকর্ষণীয় হতে পারে, কিন্তু সর্বোচ্চ হার সবসময় সব অ্যাসেটে মেলে না।

বোনাস ও প্রমোশন:
Deriv নিয়ন্ত্রিত বলে বড় বোনাস বা প্রমো দেয় না, অন্যদিকে Pocket Option ও Quotex নানা ডিপোজিট বোনাস দেয়। Binolla’র সুনির্দিষ্ট তথ্য স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ এই “ফ্রি মানি” পছন্দ করেন, কিন্তু এগুলোর প্রায়ই কঠিন শর্ত থাকে। Deriv-এর কোনো বোনাস নেই বলে ঝামেলামুক্ত শর্ত থাকে। স্বচ্ছতাকে প্রাধান্য দিলে Deriv ভালো, আর বোনাস চাইলে অন্যরা বেশি আকর্ষণীয় লাগতে পারে।

ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ও গেমিফিকেশন:
Pocket Option টুর্নামেন্ট, অ্যাচিভমেন্ট ইত্যাদি যোগ করে “মজাদার” পরিবেশ এনে থাকে, যেখানে Deriv তুলনামূলকভাবে পেশাদারী ও সরল। Quotex দ্রুত চার্ট রেন্ডারিং-এর জন্য পরিচিত, তবে বড় কোনো গেমিফিকেশন নেই। Binolla একদম নতুন। তাই ব্যবহারিক ইন্টারফেস ও বিনোদনমূলক ফিচারে Pocket Option বা Quotex কেউ কেউ পছন্দ করতে পারেন, অন্যদিকে Deriv-এ রয়েছে একটি প্রথাগত, নির্ভরযোগ্য উপস্থিতি।

উত্তোলন ও পেমেন্ট পদ্ধতি:
চারটি ব্রোকারই কার্ড, ই-ওয়ালেট, ক্রিপ্টো ইত্যাদি অফার করে, সাধারণত ১–৩ দিনে প্রসেস করে। Pocket Option ও Quotex কখনও কখনও ক্রিপ্টোতে দ্রুত পেমেন্টের জন্য পরিচিত। Deriv-এ P2P সিস্টেম (DP2P) রয়েছে, যা কিছু অঞ্চলে দ্রুত টাকা লেনদেনে সহায়তা করে। Deriv-এর ক্ষেত্রে কঠোর ভেরিফিকেশন থাকতে পারে, যা কারো কাছে সময়সাপেক্ষ বলে মনে হতে পারে, তবে এটি নিয়ন্ত্রিত ব্রোকারদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

Igor Lementov - trading-everyday.com এ আর্থিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক