পিভট পয়েন্টস বা পিভট লেভেল: ট্রেডিংয়ে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার (2025)
পিভট পয়েন্টস (Pivot Points — অনেক সময় সাপোর্ট পয়েন্টও বলা হয়) হলো মূলত চার্টের টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের একটি টুল, যা সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেলের মতোই কাজ করে। সাধারণভাবে এদের উদ্দেশ্য একই—বাজারের অংশগ্রহণকারীদের সম্ভাব্য আগ্রহের অঞ্চল চিহ্নিত করা। তবে, ক্লাসিক সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্সের তুলনায় পিভট লেভেলগুলো নির্দিষ্ট ফর্মুলার ভিত্তিতে গঠিত হয়, যেখানে আগের সময়পর্বের ডেটা (যেমন আগের দিনের Highest, Lowest, এবং Closing প্রাইস) ব্যবহার করা হয়।
সরল ভাষায় বললে, পিভট পয়েন্টস হল সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেল—যেগুলো পূর্বের ডেটা (বাজারের ইতিহাস) দেখে ভবিষ্যতের এ ধরনের স্তর আগাম অনুমান করার চেষ্টা করে। বাজারের ‘স্মৃতি’ আছে বলে ধরে নিলে, পিভট পয়েন্টসের ধারণাটি বেশ আকর্ষণীয়। চলুন দেখা যাক, পিভট পয়েন্টস কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে এগুলো ব্যবহার করে ট্রেডিংয়ে আয় করা সম্ভব।
বিষয়বস্তু
- পিভট পয়েন্টস কীভাবে কাজ করে – মূল্য উল্টে যাওয়ার স্তর
- Traditional পিভট পয়েন্টস নির্মাণের সূত্র
- DeMark (DeMark Pivot Point) অনুযায়ী পিভট পয়েন্টস নির্ণয়ের ফর্মুলা
- Woodie-এর ফর্মুলা ব্যবহার করে পিভট পয়েন্টস
- Camarilla পিভট পয়েন্টস নির্ণয়ের ফর্মুলা
- পিভট পয়েন্টস অনলাইনে বের করার উপায় – চলতি পিভট লেভেলের ক্যালকুলেটর টেবিল
- Trading View লাইভ চার্টে পিভট পয়েন্টস
- পিভট পয়েন্টস দিয়ে কীভাবে সঠিকভাবে কাজ করবেন: বাস্তব ট্রেডে পিভট লেভেলের ব্যবহার
- MT4 টার্মিনালের (Meta Trader 4) জন্য পিভট পয়েন্ট ইন্ডিকেটর
- সবচেয়ে ভালো ও নির্ভরযোগ্য পিভট পয়েন্টস
পিভট পয়েন্টস কীভাবে কাজ করে – মূল্য উল্টে যাওয়ার স্তর
পিভট পয়েন্টসের কাজের মূলনীতি বোঝা খুব কঠিন নয়; সবচেয়ে জরুরি হল কোন সূত্রে এরা তৈরি হয়। বিভিন্ন ধরনের গণনাভিত্তিক পদ্ধতি বা ফর্মুলা আছে, যা দিয়ে পিভট লেভেল বের করা যায়। প্রশ্ন উঠতে পারে—একই পিভট লেভেল কেন আলাদা সূত্রে বের করা? কারণ বিভিন্ন বিশ্লেষক তাদের মতে কিছু কম্পোনেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, কিছুটা কম দিয়েছেন বা এডিট করেছেন; ফলে সূত্রে তারতম্য এসেছে।
সাধারণত সবচেয়ে জনপ্রিয় পিভট পয়েন্ট হলো:
- Traditional (ট্র্যাডিশনাল) — ওয়াল স্ট্রিটে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা হয়
- Classic (ক্লাসিক) — আগেরটির সঙ্গে মিল রাখে, শুধু সামান্য ভিন্ন গণনাসূত্র
- Woodie — সূত্রে ক্লোজিং প্রাইসকে বেশি গুরুত্ব দেয়
- DeMark (ডিমার্ক) — হেজ ফান্ড SAC Capital Advisors-এর এক বিশ্লেষক তৈরি করেছিলেন, যিনি ২০১১-২০১৩ সময়কালে মূল্য উল্টে যাওয়া অনুমান করতেন
- Fibonacci (ফিবোনাচি) — লিওনার্দো অব পিসা (ফিবোনাচি) নামে পরিচিত গণিতবিদের সংখ্যামালার ওপর নির্ভর করে তৈরি
- Camarilla (ক্যামেরিলা) — আরেকটি পদ্ধতি, যা ক্লাসিক পিভটের কাছাকাছি
কীভাবে এসব বাস্তবে কাজ করে বুঝতে আমরা জনপ্রিয় কয়েকটি পিভট পয়েন্টসের ফর্মুলা দেখি।
Traditional পিভট পয়েন্টস নির্মাণের সূত্র
Traditional পিভট পয়েন্টস হল সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি (“সবচেয়ে সহজটাই বরং যথেষ্ট কার্যকর” বলা হয়ে থাকে)। উদাহরণস্বরূপ, আমরা আগের দিনের মূল্যতথ্য নেব (High, Low, Close)। এবার এই তিনটি মান যোগ করে ৩ দ্বারা ভাগ করলেই পিভট পয়েন্ট (Pivot) পাওয়া যায়।
P = (High + Low + Close) / 3
এরপর অতিরিক্ত সাপোর্ট (S) ও রেসিস্ট্যান্স (R) লেভেল গণনা করতে হবে। ফর্মুলা:
- R1 = 2Pivot – Low
- S1 = 2Pivot – High
- R2 = Pivot + (R1 – S1)
- S2 = Pivot – (R1 – S1)
- R3 = High + 2 × (Pivot – Low)
- S3 = Low – 2 × (High – Pivot)
এতে আমরা একটি Pivot লেভেল পাই এবং তিনটি সাপোর্ট ও তিনটি রেসিস্ট্যান্স—সর্বমোট ৭টি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল।
DeMark (DeMark Pivot Point) অনুযায়ী পিভট পয়েন্টস নির্ণয়ের ফর্মুলা
DeMark সূত্রে পিভট পয়েন্টস গণনার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল ক্যান্ডলের ধরণ (বুলিশ বা বেয়ারিশ) অনুযায়ী ভিন্ন ফর্মুলা প্রয়োগ করা হয়। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়পর্বের ক্যান্ডল ওপেন ও ক্লোজের মধ্যে সম্পর্ক কী—তার ভিত্তিতে পিভট পয়েন্ট বের করা হয়:
- যদি (Close < Open) হয়: Pivot = High + 2 × Low + Close
- যদি (Close > Open) হয়: Pivot = 2 × High + Low + Close
- যদি (Close = Open) হয়: Pivot = High + Low + 2 × Close
- R1 = Pivot/2 – Low
- S1 = Pivot/2 + High
এখানে:
- Open – ওপেনিং প্রাইস (উদাহরণস্বরূপ D1 ক্যান্ডলে)
- Close – ক্লোজিং প্রাইস
- High – সর্বোচ্চ দর
- Low – সর্বনিম্ন দর
- Pivot – মূল পিভট লেভেল
Woodie-এর ফর্মুলা ব্যবহার করে পিভট পয়েন্টস
Woodie পিভট পয়েন্টসে Close-এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়:
- Pivot = (High + Low + 2 × Close) / 4
- R1 = 2 × Pivot – Low
- S1 = 2 × Pivot – High
- R2 = Pivot + High – Low
- S2 = Pivot – High + Low
এখানে:
- Close – ক্লোজিং প্রাইস (যেমন D1 ক্যান্ডল)
- High – সর্বোচ্চ দর
- Low – সর্বনিম্ন দর
- Pivot – পিভট লেভেল
চার্টে ৫টি লেভেল দেখায়—১টি পিভট লেভেল ও দু’টি সাপোর্ট (S1, S2) এবং দু’টি রেসিস্ট্যান্স (R1, R2):
Camarilla পিভট পয়েন্টস নির্ণয়ের ফর্মুলা
Camarilla সূত্রে গণিত করে তৈরি করা পিভট পয়েন্টসে সাধারণত ৮টি লেভেল থাকে, যা বর্তমান মূল্যের সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স নির্দেশ করে। প্রায়ই ফরেক্স ট্রেডাররা এগুলো স্টপলস ও টেকপ্রফিট সেট করতে ব্যবহার করে।
- R4 = (High – Low) × 1.1 / 2 + Close
- R3 = (High – Low) × 1.1 / 4 + Close
- R2 = (High – Low) × 1.1 / 6 + Close
- R1 = (High – Low) × 1.1 / 12 + Close
- S1 = Close – (High – Low) × 1.1 / 12
- S2 = Close – (High – Low) × 1.1 / 6
- S3 = Close – (High – Low) × 1.1 / 4
- S4 = Close – (High – Low) × 1.1 / 2
এখানে:
- Close – ক্লোজিং প্রাইস (যেমন D1 ক্যান্ডল)
- High – সর্বোচ্চ দর
- Low – সর্বনিম্ন দর
- R1, R2, R3, R4 – রেসিস্ট্যান্স লেভেল
- S1, S2, S3, S4 – সাপোর্ট লেভেল
পিভট পয়েন্টস অনলাইনে বের করার উপায় – চলতি পিভট লেভেলের ক্যালকুলেটর টেবিল
উপরে উল্লেখিত ফর্মুলাগুলো হাতে গুনে বের করার ঝামেলা এড়াতে আপনি বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া একটি সহজ উপায় হল রেডিমেড টেবিল ব্যবহার করা, যেখানে প্রয়োজনীয় সব হিসাব আগেই করা থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, ইনভেস্টিং ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস বিভাগে “Turning Points” নামে একটি টেবিল আছে:
ওখানে আপনি পিভট পয়েন্টসের ধরন বেছে নিতে পারেন:
- Classic
- Fibonacci
- Camarilla
- Woody
- DeMark
এছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাসেট বাছাই করে সেখানকার পিভট পয়েন্টস পেতে পারেন। টেবিলে দেখাবে:
- পিভট পয়েন্ট (PP)
- S1, S2, S3 ... Sn – সাপোর্ট লেভেল
- R1, R2, R3 ... Rn – রেসিস্ট্যান্স লেভেল
তার পাশেই টাইম ফ্রেম (interval) উল্লেখ থাকবে, যেটি নির্দেশ করে কোন টাইম ফ্রেমের (ক্যান্ডলের) ডেটা নিয়ে পিভট লেভেল বসানো হয়েছে:
উদাহরণস্বরূপ, যদি “1 hour” বাছাই করেন, তবে আগের 1 ঘণ্টার ক্যান্ডলের ভিত্তিতে পিভট পয়েন্ট তৈরি হবে।
Trading View লাইভ চার্টে পিভট পয়েন্টস
Trading View-এর লাইভ চার্টেও পিভট পয়েন্টস আঁকা যায়। চার্ট খুলে “Pivot Points Standard” নামের ইন্ডিকেটর বাছাই করুন:
এই ইন্ডিকেটর যুক্ত হলে চার্টে পিভট পয়েন্টস দেখা যাবে:
ইন্ডিকেটরের সেটিংসে আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন:
- কী ধরনের ক্যালকুলেশন (type)
- পুরনো পিভট দেখাবেন কি না (Show historical pivots)
- পিভট পয়েন্টের টাইম ফ্রেম (Pivots timeframe)
এর মধ্যে পিভট পয়েন্ট নির্মাণের ধরন বেছে নিতে পারেন:
- Traditional
- Fibonacci
- Woodie
- Classic
- DeMark (DM)
- Camarilla
“Show historical pivots” আনচেক করে প্রয়োজনীয় টাইম ফ্রেম নির্বাচন করুন। সাধারণত:
- M1, M5, M15-এর জন্য আগের দিনের ডেটা নেওয়া হয়
- M30 ও H1-এর পিভট তৈরিতে আগের সপ্তাহের ডেটা নেওয়া হয়
- ডেইলি চার্টের জন্য আগের মাসের ডেটা
“Style” সেকশনে আপনি কোন লেভেলগুলো দেখতে চান তা টিক চিহ্ন দিয়ে নির্ধারণ করতে পারবেন (গণনার ফর্মুলার ওপর নির্ভর করে সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্সের সংখ্যা ৩ থেকে ৮ পর্যন্ত হতে পারে):
সেটিংস শেষ হয়ে গেলে, কেবলমাত্র বর্তমান পিভট লেভেলগুলোই চার্টে দেখাবে, যেগুলো ট্রেডিংয়ে ব্যবহার করা যাবে:
পিভট পয়েন্টস দিয়ে কীভাবে সঠিকভাবে কাজ করবেন: বাস্তব ট্রেডে পিভট লেভেলের ব্যবহার
কোনো অ্যাসেটের মূল্য চার্টে পিভট পয়েন্ট থাকলে সেগুলো কীভাবে ব্যবহার করবেন? মূলত দুটি উপায়:
- সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেল হিসেবে
- সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স “জোন” হিসেবে
দু’ভাবেই মূল্য ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাব্য এলাকাকে নির্দেশ করে। পিভট পয়েন্টস যথেষ্ট শক্তিশালী সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্স, তাই “নগ্নভাবে” (কোনো অতিরিক্ত বিষয় ছাড়া) এগুলো ব্যবহার করাও সম্ভব—যে মুহূর্তে মূল্য পিভট লেভেল স্পর্শ করে, সেখানে দাম ঘুরে যাওয়ার বা অন্তত পুলব্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়:
দেখা যাচ্ছে, মূল্য পিভট পয়েন্টকে বেশ ভালোভাবে সম্মান করে—প্রায়ই পুলব্যাক হয়, আর কোনো লেভেল ভেঙে দিলে পরে মূল্য আবার ফিরে ওই লেভেলে এসে কনসোলিডেট করে, তারপর ট্রেন্ড চালিয়ে যায়।
একটি রেসিস্ট্যান্স লেভেল ভেঙে গেলে তা সাপোর্টে পরিণত হয়, আর সাপোর্ট ভেঙে গেলে রেসিস্ট্যান্সে—ক্লাসিক সাপ্লাই ও ডিমান্ড লেভেলের মতোই।
পিভট পয়েন্টের আশপাশে জোন ধরার কথাও বলা যায়—যেমন ক্লাসিক সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্স জোনের মতোই:
পদ্ধতিটা হল:
- প্রথমে উপযুক্ত পিভট লেভেল চিহ্নিত করুন
- ক্যান্ডলের ছায়া (শেডো) ও ঘন ঘন রিভার্সালের জায়গাগুলো দেখে সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্স জোনের সীমানা বের করুন
মনে রাখবেন, খুবই সাধারণভাবে ওই সীমানায় দীর্ঘ শেডো বা ডোজি ক্যান্ডল দেখা যায়—ফলে জোনের সীমানা শনাক্ত করা কঠিন নয়। এরপর ট্রেডে এভাবে ব্যবহার করতে পারেন:
- যদি মূল্য জোনের ওপরে থাকে ও সেদিকে এগিয়ে আসে, তবে জোন থেকে “উপরে ওঠার” ট্রেড খোলা যায়
- যদি মূল্য জোনের নিচে থাকে, তবে “নিচে নামার” ট্রেড খোলা যেতে পারে
বেশিরভাগ সময় এটি কাজ করে।
ফলস ব্রেকআউট চিনতে এখানেও ঠিক সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্স জোনের মতোই দেখতে হবে:
অর্থাৎ, মূল্যকে জোন ভেদ করে বাইরে গিয়ে কিছুটা সময় থাকতে হবে। ব্রেকডাউট নিশ্চিত করতে পরে দেখা যায় মূল্য আবার ভাঙা লেভেলে ফিরে এসে ট্রেন্ড কন্টিনিউ করে।
বড় টাইম ফ্রেমে (উদাহরণস্বরূপ H1) বিশেষ করে ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্নের ওপর বাড়তি নজর দিতে পারেন। যেমন USD/CAD-এর H1 চার্ট দেখি:
- দুটি ক্যান্ডল মিলে রিভার্সাল প্যাটার্ন তৈরি করেছে—লম্বা ছায়া ও তুলনামূলক ছোট বডি। এটি দাম নিচের দিকে ঘুরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়; সেটাই হয়েছে।
- “Pinocchio” প্যাটার্ন, যেটি পিভট লেভেলে গঠিত—এটিও রিভার্সালের সংকেত।
- “Ski” প্যাটার্ন—আরো একটি রিভার্সাল ফর্মেশন। প্রথম কেসের মতোই আগের ট্রেন্ডের বিপরীতে দাম যাবে (নিচের দিকে)।
- আরেকটি লম্বা “নোজ” বা ছায়া-ওয়ালা ক্যান্ডল পিভট লেভেলে। মনে হচ্ছে মূল্য ওপরে যেতে পারে; পরের ক্যান্ডল যদি বুলিশ হয়, তবে সিগনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে—নিচয়ই দাম বাড়ার সম্ভাবনা।
অনেক সময় পিভট পয়েন্টস মূল্যের জন্য চুম্বকের মতো কাজ করে, মানে মূল্য ওই লেভেলের কাছাকাছি বারবার আসে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ক্যান্ডল তৈরির আগেই রিভার্সাল ট্রেড নেওয়ার সুযোগ থাকে:
MT4 টার্মিনালের (Meta Trader 4) জন্য পিভট পয়েন্ট ইন্ডিকেটর
অনেকেই প্রাইস বিশ্লেষণের জন্য মূলত MT4 (Meta Trader 4) ব্যবহার করেন। তাদের জন্য কিছু পিভট পয়েন্ট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যা আপনার কৌশলের সঙ্গে মিলিয়ে পিভট পয়েন্টস ব্যবহার সহজ করবে।
ALL Pivot Points ইন্ডিকেটর (MT4)
ALL Pivot Points হলো এমন একটি ইন্ডিকেটর, যেটিতে কয়েকটি ভিন্ন সূত্রে পিভট পয়েন্ট আঁকার বিকল্প আছে:
- Classic পিভট পয়েন্টস
- DeMark
- Woody
- Fibonacci
- Camarilla
সেটিংসে “Calculation Mode”-এ কোন পদ্ধতিতে গণনা হবে, তা ঠিক করে দিতে হয়:
এতে চার্টে প্রয়োজনীয় সব পিভট পয়েন্টস দেখাবে, তবে “Time Frame” সেটিংয়ে যে TF দেবেন, সেখানকার ডেটা দিয়ে হিসাব হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি “D1” নির্বাচন করা থাকে, তবে আগের দিনের ক্যান্ডলের ডেটা নিয়ে পিভট লেভেল আঁকা হবে:
এখানে ক্লিক করে All Pivot Points ইন্ডিকেটর ডাউনলোড করুন
Pivots All Levels ইন্ডিকেটর (Meta Trader 4)
Pivots All Levels আরেকটি দরকারি ইন্ডিকেটর, যা ডেইলি পিভট লেভেল (ক্লাসিক ফর্মুলায়) চার্টে বসায়। বেশিরভাগ ট্রেডারের জন্য এটাই যথেষ্ট, কারণ DeMark বা Camarilla-তে সুইচ করার প্রয়োজন সবসময় পড়ে না।
এখানে ক্লিক করে MT4-এর জন্য Pivots All Levels ইন্ডিকেটর ডাউনলোড করুন
সবচেয়ে ভালো ও নির্ভরযোগ্য পিভট পয়েন্টস
পিভট পয়েন্টস সাপ্লাই ও ডিমান্ড জোন (সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেল) খোঁজার একটি জনপ্রিয় উপায়। এসব সাধারণ হরাইজন্টাল লেভেলের মতোই কাজ করে, সুতরাং ট্রেডিংয়ের নিয়মও প্রায় একই।
তবে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার—পিভট পয়েন্টস অটোমেটিক্যালি আঁকা হলেও, এগুলো নির্দিষ্ট কিছু সূত্র অনুসারে সীমিত লেভেল তৈরি করে। ধরুন, প্রতিটি পিভট লেভেল ঘিরে একটা সাপোর্ট-রেসিস্ট্যান্স জোন তৈরি করলেও সম্ভবত তা বড় পরিসরে ট্রেডিংয়ের জন্য সব সময় যথেষ্ট হবে না।
সুতরাং, পিভট পয়েন্টস নিয়মিত সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেলকে প্রতিস্থাপন করে না, বরং সেগুলোকে পরিপূর্ণ করে। পিভট পয়েন্টস শক্তিশালী বটে, তবে ভুলে গেলে চলবে না এগুলোও ভেঙে যেতে পারে; তাই মূল্য কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তা অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
সবচেয়ে কার্যকর ফল পেতে হলে, পিভট পয়েন্টসকে আপনার হাতে আঁকা সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ঠিক এভাবেই ট্রেডিংয়ে সর্বোচ্চ সম্ভাব্য ফলাফল পাওয়া যাবে।
পর্যালোচনা এবং মন্তব্য